এই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে মঙ্গলাবার পাঠানো ওই চিঠিতে ওয়ারীর কোন কোন অঞ্চল নিয়ে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হবে তা তুলে ধরা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারী এলাকায় রেড জোন হিসেবে বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) আউটার রোড এবং ইনার রোড হিসেবে লালমিনি রোড, হরে রোড, ওয়ার রোড, র্যানকিন রোড এবং নওয়াব রোড ‘রেড জোন’ হবে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন এলাকা ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে সেসব অঞ্চল অবরুদ্ধ করা হচ্ছে। রেড জোনগুলোতে ২১ দিন সাধারণ ছুটি থাকছে।
ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন লাল অঞ্চলে জীবনযাত্রা ‘কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ’ করতে পারবে। অফিস-কারখানা বন্ধ থাকবে, যানবাহন ও সাধারণের চলাচলে থাকবে কড়াকড়ি।
সরকার ইতোমধ্যে তিন দফায় দুই দফায় ১৯ জেলার ৪৫টি অঞ্চলে রেড জোন ঘোষণা করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
এর আগে ঢাকার রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের পরীক্ষামূলকভাবে রেড জোন ঘোষণা করা অবরুদ্ধ করা হয়। পূর্ব রাজাবাজারের পর ওয়ারীও পরীক্ষামূলক অবরুদ্ধ হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ জারিকৃত এসওপি অনুসারে রেড জোনে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাব অনুযায়ী ওই এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীদের বেশিরভাগ ঢাকায় থাকায় ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পুরো ঢাকা অবরুদ্ধ করার সুপারিশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগ ঢাকার যে ৪৫টি এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলো অবরুদ্ধ করার ক্ষেত্রেও ধীরে হাঁটছে সরকার।
‘ভেবেচিন্তে’ সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে এখনও রাজধানীতে সব এলাকায় ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়নি বলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সম্প্রতি জানান।