শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ঢাকা মহানগরের ওয়ারীর নির্ধারিত এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পরীক্ষামূলকভাবে রেড জোন বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
“পরামর্শক কমিটির গাইডলাইন অনুযায়ী পূর্ব রাজাবাজারে রেড জোন চলমান আছে। স্থানীয় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে যেখানে যেমন প্রয়োজন রেড জোন বাস্তবায়নের কাজ চলমান আছে।”
ডা. নাসিমা বলেন, জোনিং নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে ১৩ সদস্যের একটি দল কাজ করে যাচ্ছে। স্থায়ীভাবে কোনো অঞ্চল বা এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা বা বাতিল করা হয়নি।
“রেড জোন, গ্রিন জোন বা ইয়েলো জোনিং একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা সংক্রমণ বিস্তারের সর্বাধিক, মাঝারি ও কম ঝুঁকির ওপর নির্ভর করে। ”
২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সারা দেশে লকডাউনে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর হার বিবেচনায় নিয়ে সার দেশকে লাল, হলুদ ও সুবজ জোনে ভাগ করে এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এর অংশ হিসেবে গত ৯ জুন মধ্যরাত থেকে ঢাকার প্রথম এলাকা হিসেবে পূর্ব রাজাবাজারে পরীক্ষামূলক লকডাউনের কার্যক্রম শুরু হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তিন দফায় মোট ১৯ জেলার ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
এসব এলাকায় ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন লাল অঞ্চলে জীবনযাত্রা ‘কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ’ করতে পারবে। অফিস-কারখানা বন্ধ থাকবে, যানবাহন ও সাধারণের চলাচলে থাকবে কড়াকড়ি।