ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আসামিকে স্বচক্ষে দেখে রিমান্ড শুনানি করা যাবে।
Published : 07 Jun 2020, 11:42 PM
ফৌজদারি মামলায় রিমান্ড শুনানি সংক্রান্ত অতিরিক্ত বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশে রোববার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেন।
এতে বলা হয়েছে, আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০ এর ৫ ধারার ক্ষমতাবলে এবং করোনাভাইরাস রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এবং শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া বিচারকার্য পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রধান বিচারপতি হাই কোর্ট বিভাগ কর্তৃক আগের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের গত ১০ মে’র বিজ্ঞপ্তিমূলে (বিজ্ঞপ্তি নম্বর-২১৪এ) প্রচারিত বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় অতিরিক্ত বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করেন।
প্র্যাকটিস নির্দেশনায় বলা হয়, ১৯৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের অধীন মামলা দায়েরসহ যেসব দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা দায়ের/আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে আইনে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে এবং যেসব মামলা বা আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে ১৯০৮ সালের লিমিটেশন অ্যাক্টের ৫ ধারার বিধান প্রযোজ্য নয়, সেসব মামলা বা আপিলের ফাইলিং ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে গ্রহণ করা যাবে।
“এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট তা গ্রহণ করে শুনানি/ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারার অধীন জবানবন্দি গ্রহণের জন্য উপযুক্ত সময়ে একটি তারিখ নির্ধারণ করবেন।”
আরেকটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “ফৌজদারি কোনো মামলার আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলখানায় ভার্চুয়াল কনফারেন্সের লিংক পাঠিয়ে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে স্বচক্ষে দেখে শুনানি করা সম্ভব হলে রিমান্ড শুনানি করা যাবে।”
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ থাকায় অনেক আইনজীবী ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার ব্যাপারে সোচ্চার হন।
পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধও জানানো হয়।
সে অনুরোধে সাড়া দিয়ে গত ৯ মে রাষ্ট্রপতি ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন।
এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশে গত ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত সংক্রান্ত কয়েকটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
এরপর গত ১১ মে থেকে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।