আইসিআরসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলার ৮৫টি কমিউনিটির পাশাপাশি শহরের কিছু মানুষও এই সহায়তা পেয়েছেন। ছয় হাজার পরিবারের প্রতিটিকে শর্তহীন নগদ সহায়তা হিসেবে সাড়ে চার হাজার টাকা করে দেয়া হয়। এতে ৩০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে।
এতে বলা হয়, মহামারীতে দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী মানুষ কাজের অভাবে তীব্র খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে। ক্রমপরিবর্তনশীল এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার প্রয়োজন।
বিডিআরসিএসের কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক জনাব এম এ হালিমকে উদ্বৃত করে এতে বলা হয়, স্থানীয় বিডিআরসিএস ইউনিটগুলির সহায়তায় তারা কোভিড-১৯ আক্রান্তদের পরিবার, কর্মহীন দিনমজুর পরিবার, আয়ের সুযোগ হারানো পরিবার এবং নারী-প্রধান পরিবারগুলোকে মূলত এই সহায়তা দিয়েছেন।
আইসিআরসি বাংলাদেশের ফিল্ড প্রোটেকশন ডেলিগেট লরা ডিসকিনের মতে, মহামারীর এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম করতে বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। যার মধ্যে রয়েছে, তিন পার্বত্য জেলায় ৩০০০ পরিবারকে ফুড পার্সেল বিতরণ, জেলা কারাগারে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী (হাইজিন কিটস) বিতরণ, স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে কারাগারে সংক্রমণ ও প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান। সহায়তার সঙ্গে লিফলেট, অন্য সময়ে অডিও বার্তা, হটলাইনের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের প্রতিক্রিয়া, অভিযোগ ও পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে।
২০১৪ সাল থেকে এই তিন জেলায় বসবাসকারী পাহাড়ি ও বাঙালিদের কমিনিউটি ভিত্তিক জীবিকা উন্নয়ন, নিরাপদ পানি এবং পরিচ্ছন্ন স্যানিটেশন সুবিধা প্রদানে কাজ করছে বিডিআরসিএস ও আইসিআরসি।
আইসিআরসি পার্বত্য চট্রগ্রামে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, শক্তি এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছে।