কোভিড-১৯: চিকিৎসক বাবার সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত ঢাবি ছাত্র

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন ছাত্র করোনাভাইরাসজনতি রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2020, 07:31 AM
Updated : 23 April 2020, 08:12 AM

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শিক্ষার্থী, যিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এর আগে আক্রান্ত দুইজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুধবার আমাদের আরও একজন ছাত্রের করোনাভাইরাস টেস্ট পজিটিভ এসেছে। সে পরিবারের সাথে আছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি। আশা করি সুস্থ হয়ে ওঠবে।

“এর আগে আক্রান্ত হওয়া আমাদের দুজন শিক্ষার্থীও সুস্থ হয়ে গেছে। তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।”

নতুন আক্রান্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পর থেকে তিনি মোহাম্মদপুরে পরিবারের সাথেই থাকছেন।

পরিবার থেকেই তার সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার বাবা নারায়ণগঞ্জের একটি সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। সেখানে চিকিৎসা দিতে গিয়ে ওনার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। ওনার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আইইডিসিআর থেকে আমাদের পরিবারের সবার 
স্যাম্পল নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার এর রিপোর্ট দেওয়া হয়। সেখানে শুধু আমার রিপোর্টটা পজিটিভ এসেছে।”

তার বাবা এখন অনেকটাই সুস্থ জানিয়ে ওই ছাত্র বলেন, “তিনি সুস্থবোধ করছেন। এখন আবার ওনার পরীক্ষা করা হবে। এই মুহূর্তে আমাদের পরিবারের সবাই বাসাতেই আইসোলেশনে আছি। আইইডিসিআর থেকে আমাদের তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে।”

এর আগে গত ৮ এপ্রিল  রাজধানী মানিকদী এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এর ১৮ এপ্রিল ফের তার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল আসে।

সুস্থ হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “আমার করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বাসাতেই আইসোলেশনে থাকি। জ্বর সারতে ছয়দিন লেগেছিল। এর প্রতিষেধক হিসেবে আমি শুধু নাপা (প্যারাসিটামল) খেয়েছিলাম। তবে জ্বর বেশি থাকলে সাপোজিটর ব্যবহার করেছি।”

ঘরোয়া টোটকা চিকিৎসায় উপকার পেয়েছেন জানিয়ে এই শিক্ষার্থী 
বলেন, “জ্বর সেরে ওঠার পর কাশিটা আরও কয়েকদিন ছিল। এজন্য ‘এলাট্রল’ খেয়েছিলাম। তবে সবসময় গরম পানি পান, আদা-রসুন খুব উপকারে এসেছে। আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমি কখনও ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করিনি।”

এছাড়া গত ৮ এপ্রিল  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ১৫ এপ্রিল দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় তার নেগেটিভ ফল আসে।

সুস্থ হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এই শিক্ষার্থী ফেইসবুকে ভিডিও বার্তায় বলেন, “এ সময়ে আমি ভিটামিন সি খেয়েছি, গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করেছি এবং স্যাভলন পানি দিয়ে গোসল করতাম। নিয়মিত ব্যায়াম করতাম এবং এক-দুই ঘণ্টা পরপর শুধু গরম পানি খেতাম।”