শাহবাগের পুরনো বেতার ভবনের দ্বিতীয় তলায় করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরিতে বুধবার থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি তারা জ্বর-সর্দির মত উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের জন্য আলাদা ‘ফিভার ক্লিনিক’ চালু করেছেন।
“সেখানে আসা কোনো রোগীর উপসর্গ করোনাভাইরাসের মত বলে সন্দেহ হলে তাদের এখানে পরীক্ষা করা হবে।”
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা করানো যাবে বলে জানান অধ্যাপক রফিকুল।
তিনি বলেন, আপতত তারা পিসিআর টেস্ট করবেন। সেজন্য রোগীর লালা বা কফ নেওয়া হবে নমুনা হিসেবে। এ পরীক্ষার জন্য কোনো টাকা নেওয়া হবে না।
পিসিআর টেস্টের জন্য প্রাথমিকভাবে কিছু কিট পাওয়ার কথা জানিয়ে অধ্যাপক রফিকুল বলেন, কোভিড-১৯
কিছুদিন পর র্যাপিড টেস্টও চালু করার আশা প্রকাশ করে উপ-উপাচার্য বলেন, “প্রথমে ব্যাপক আকারে আমরা পরীক্ষা করত পারব না। শুরু করব, আরও কিট পেলে বেশি সার্ভিস দেওয়ার আশা রাখি। তবে আমরা সবার পরীক্ষা করব না।”
উপ-উপাচার্য জানান, সেসব রোগী যানবাহন স্বল্পতা বা দূরত্বের জন্য বহির্বিভাগে গিয়ে সেবা নিতে পারছেন না, তারা হেল্প লাইনে ফোন করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন। প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি থেকেও নমুনা নিয়ে আসা হবে।
“টেলিফোনে সেবা দেওয়ার সময় যেসব রোগীর বিষয়ে সন্দেহ হবে, তাদের আমরা এই পরীক্ষা করব। আমাদের প্ল্যান হচ্ছে যদি কোনো রোগীকে বাসায় গিয়ে স্যাম্পল নিয়ে আসার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা তা নিয়ে আসব।”
পুরনো বেতার ভবনে গত ২ সপ্তাহ ধরে ফিভার ক্লিনিকে জ্বর সর্দি-কাশির রোগীদের পৃথকভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হেল্প লাইনে ফোন করে তথ্য দিয়ে পরামর্শ সেবা নেওয়া যাবে।
ফোন নম্বরগুলো হচ্ছে- মেডিসিন বিভাগ-০১৪০৬৪২৬৪৩৭, ০১৪০৬৪২৬৪৩৮, সার্জারি বিভাগ-০১৪০৬৪২৬৪৩৯, নাক, কান, গলা বিভাগ-০১৪০৬৪২৬৪৪০, বক্ষব্যাধি-০১৪০৬৪২৬৪৪১, অবস অ্যান্ড গাইনি- ০১৪০৬৪২৬৪৪২. শিশু বিভাগ-০১৯৮৪৫১৯৫২৫, ০১৯৫১৮২০৮৪৩।