ছাত্র সংগঠনটির এই উদ্যোগ নানা মহলে প্রশংসিত হওয়ার পর যুব ইউনিয়ন নেতাকর্মীরাও শুক্রবার এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন।
বরাবরই ঝড়, বন্যাসহ বিভিন্ন জাতীয় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চার দিন ধরে তারা এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এরইমধ্যে ৫০ মিলিলিটারের ৯ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে তা বিলি করেছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত খবর সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা টেলিভিশন সাংবাদিকদের একটি অংশও তাদের কাছ থেকে এই জীবাণুনাশক নিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির শহীদ মুনীর চৌধুরী কনফারেন্স হল ও তার সামনের জায়গায় এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি, রসায়ন ও প্রাণ রসায়নের শিক্ষার্থীদের ২৫ জনের একটি দল প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮-৯টা অবধি এগুলো তৈরি করছেন।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল ৭০%, গ্লিসারিন, লেমন ওয়েল ও ডিস্টিলড ওয়াটার ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান অনীক রায়।
এর অর্থায়ন কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু কিছু সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো দিয়েই উপকরণগুলো কিনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করা হচ্ছে।
ঢাকায় নভেল করোনাভাইরাস রোগী ধরা পড়ার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বেড়েছে। এই ফাঁকে স্যানিটাইজার তৈরির উপকরণগুলোর দাম চড়েছে জানিয়ে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা অনীক।
ঢাকার পাশাপাশি শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড়ে যুব ইউনিয়নের অস্থায়ী কার্যালয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সেখানে তৈরি এক হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিকালে চট্টগ্রামের নিম্ন আয় ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে বলে যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি রিপায়ন বড়ুয়া জানিয়েছেন।
তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জীবানুরোধক এ পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মুনাফায় মানুষের কাছে বিক্রি করছে।”
স্যানিটাইজারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মুনাফা লোভীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয় বিবৃতিতে।