স্কুল বন্ধ মানে ‘ছুটি’ নয়, রাস্তায় দেখলে ‘পাঠানো হবে’ বাড়ি

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যতদিন বন্ধ থাকবে, ওই সময় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় ঘুরতে দেখলে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্দেশ্য যাতে ব্যাহত না হয়, সেই লক্ষ্যে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে ১৮ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা যাতে বাসায় অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছিল।

“কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এ ছুটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকি অনেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণেও যাচ্ছেন সপরিবারে।

“জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনো শিক্ষার্থীকে রাস্তায় ঘুরতে দেখলে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে।”

৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ  

এছাড়া সন্তানদের বাসায় অবস্থান নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে কিছু কোচিং সেন্টার তাদের কোচিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীসহ সারাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

“এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের বুধবার আবারো চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।”

বরিশালে কোচিং সেন্টার চালু রাখায় ব্যবস্থাপককে কারাদণ্ড  

কোচিং খোলা রাখায় নীলফামারীতে জরিমানা  

নভেল করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী রূপ ধারণ করায় সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

ছোঁয়াচে এই রোগ যাতে বেশি না ছড়াতে পারে, সেজন্য জনসমাগমের মতো অনুষ্ঠানও এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।

আরও খবর

করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যু, আক্রান্ত বেড়ে ১৪

করোনাভাইরাস: ২ এপ্রিল পর্যন্ত সব সিনেমা হল বন্ধ

জ্বর-কাশি নিয়ে মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ

করোনাভাইরাস: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাও বন্ধ হল