বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে সংসদেও সুপারিশ

এ বছর থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2020, 05:36 PM
Updated : 13 Feb 2020, 05:36 PM

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্তের পক্ষে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় এ দাবি জানান তিনি। এজন্য তিনি স্পিকারের রুলিংও চেয়েছেন।

হারুন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে গত তিন দিন ধরে পত্রপত্রিকাগুলোতে লেখালেখি হচ্ছে। গত মঙ্গলবার ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সভা করেছেন।

“কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, এখানে ১৯৭৩ এর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের কথা আসছে। অধ্যাদেশের কথা বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ বড় বড় বিদ্যালয়গুলো অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় এখনই ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না দাবি করে হারুন ‘অতিদ্রুত’ ওই আইন সংস্কারের দাবি জানান।

হারুন বলেন, ভর্তির সময় অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ছাত্র সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষাধিক আবেদনকারী থাকেন। তাই তিনি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চান।

ট্রাম্পের ভয়ে কি সরকার চুপ?

ফিলিস্তিন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার বিষয়ে বাংলাদেশের নীরবতার সমালোচনা করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন তুলে ধরে তিনি বলেন, “সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে সঙ্গে নিয়ে ফিলিস্তিন সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। সেখানে ফিলিস্তিনকে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনের যতটুকু জমি রয়েছে সেটা পুরনো ফিলিস্তিনের মাত্র ১২ শতাংশ। এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের কোনো আর্মি থাকতে পারবে না, মুক্তিযোদ্ধাদের নিরস্ত্র করতে হবে।
“ফিলিস্তিন সরকার, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই পরিকল্পনার ব্যাপারে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো শব্দ উচ্চারণ করেনি।”
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভয়ে বাংলাদেশ চুপ কি না- সে প্রশ্ন রেখে মেনন বলেন, “কিছুদিন পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে আসবেন। সেখানে মোদির সঙ্গে মিলে এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। সেখানে বাংলাদেশ কোন অবস্থায় থাকবে এই ভয়ে বাংলাদেশ ভীত কি না, তা আমি জানি না।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে মেনন বলেন, “দুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি অর্থনীতির কথা বলেছেন। কিন্তু সীমান্তে হত্যা, ফিলিস্তিনের সমস্যার কথা তার বক্তব্যে ছিল না।”

মেননের বক্তব্যের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “ফিলিস্তিন সম্পর্কে বাংলাদেশের যে নীতি ছিল সেটা এখনও বহাল আছে। এ নিয়ে সন্দেহে কোনো কারণ নেই।”

বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি

গত পাঁচ বছরে প্রস্তাবের তুলনায় বৈদেশিক বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে প্রস্তাবের প্রায় দ্বিগুণ বিনিয়োগ এসেছিল, সেখানে ২০১৮ সালে প্রস্তাবের অধের্কের কিছু বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। ২০১৭ সালের প্রস্তাবের তুলনায় বিনিয়োগ ছিল আরও কম।

বৃহস্পতিবার সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থাপিত তথ্যে এ চিত্র দেখা গেছে।  

অবশ্য মন্ত্রী প্রস্তাবের তুলনায় বিনিয়োগ কমার বিষয়টি প্রকারান্তরে অস্বীকার করেছেন।
এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা তার প্রশ্নে নিবন্ধনের তুলনায় প্রকৃত বিনিয়োগ কম হচ্ছে উল্লেখ করে এই তথ্য সত্য কি না, তা জানতে চান।

জবাবে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে ৫ বছরের নিবন্ধিত প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ও প্রকৃত বিনিয়োগের চিত্র তুলে ধরেন।

মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে ৯৩৬ দশমিক ৯৩৫ মিলিয়ন প্রস্তাবের বিপরীতে প্রকৃত বিনিয়োগ এসেছে এক হাজার ৫৫১ দশমিক ২৮ মিলিয়ন ডলার, ২০১৫ সালে ৫৬২ দশমিক ৩০৩ মিলিয়ন প্রস্তাবের বিপরীতে প্রকৃত বিনিয়োগ এসেছে দুই হাজার ২৩৫ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার, ২০১৬ সালে ১১ হাজার ৩২১ দশমিক শূন্য ৫৪ মিলিয়ন প্রস্তাবের বিপরীতে প্রকৃত বিনিয়োগ এসেছে দুই হাজার ৩৩২ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলার, ২০১৭ সালে ১০ হাজার ৪৬৯ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন প্রস্তাবের বিপরীতে প্রকৃত বিনিয়োগ এসেছে দুই হাজার ১৫১ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার এবং ২০১৮ সালে পাঁচ হাজার ১৬৬ দশমিক ৮২২ মিলিয়ন প্রস্তাবের বিপরীতে প্রকৃত বিনিয়োগ এসেছে তিন হাজার ৬১৩ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার।

মন্ত্রী বলেন, “এই তুলনামূলক চিত্র হতে এটা বলা সমীচীন হবে না যে নিবন্ধনের তুলনায় প্রকৃত বিনিয়োগ অনেক কম।

“কোনো বছরের নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাবের পাশাপাশি পুরনো প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। ফলে একটি পঞ্জিকা বা অর্থ বছরে প্রাপ্ত প্রকৃত বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণের সাথে ওই বছরের প্রস্তাবের তুলনা করা কঠিন।”

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সংসদে জানান, দেশের আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩১টি জেলার ১১৭টি উপজেলার এক হাজার ২৯০টি ইউনিয়নে ২ লাখের মত নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করা হচ্ছে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য জানান, সমবায়ী ব্যাংকের বর্তমানে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ১৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি ঋণ ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ হাজার, প্রকল্প ঋণ ১০ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার, প্রকল্প ঋণ (মহিলা) ৫৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা, কনজুমার্স ঋণ ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার, পার্সোনাল ঋণ ৫৫ কোটি ৯৪ লাখ ২ হাজার টাকা, স্বর্ণ বন্ধকী ঋণ ৮১ কোটি ৮৯ লাখ ২২ হাজার টাকা।