মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার এই কমিটি গঠনের আদেশ প্রকাশ করেছে।
কমিটিকে আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া ছাড়াও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে জেলা কমিটির কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয় করতে বলা হয়েছে এই নির্দেশনায়।
এছাড়া বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে তা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও দিকনির্দেশনা দিতে হবে এই কমিটিকে।
কমিটিকে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধকল্পে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও এ সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ও নীতিগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় কমিটিতে স্পিকারের মনোনয়নে গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি সদস্য হিসেবে আছেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন।
এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মনোনীত একজন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক এবং ইউনিসেফের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির এবং ব্র্যাকের পরিচালক কে এম মোর্শেদকেও কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (প্রশাসন) কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটিকে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সংক্রান্ত কার্যক্রমের বাৎসরিক প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
এই কমিটি প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।