বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জেষ্ঠ বিশেষ জজ এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
এদিন আসামির পক্ষে শাহিনুর ইসলাম আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেয়।
গত ৭ জানুয়ারি জাবিদকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দিনই আদালত তাকে রিমান্ডে পাঠিয়েছিল। রিমান্ড শেষে গত ১৪ জানুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল দলিল তৈরি করে শহীদ পরিবাকে সরকারের বরাদ্দ দেওয়া বাড়ি আত্মসাতের অভিযোগে গত বছর ২২ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন।
জাবেদ উদ্দিন ও মিরাজ মো. জাকির উদ্দিনকে এ মামলায় আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল দলিল তৈরি করেন। সেগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জমা দিয়ে শহীদ পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া জমি দখল করেন।
নবাবপুর এলাকায় অবস্থিত ওই জমির দাম ২ কোটি টাকারও বেশি।
এজাহারে আরো বলা হয়, ওই জমি অর্পিত সম্পত্তি। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জমিটি শহীদ পরিবারের সদস্য এ কে এম শামসুল হক খানের মা মাসুদা খানমকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই সম্পত্তি বর্তমানে শহীদ পরিবারের সর্বশেষ সদস্য আজহারুল হক খানের নামে আছে।
জমিটি দখলে সহায়তার অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইব্রাহিম খানকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছিল।