তোবারক হত্যায় গ্রেপ্তার ৫, ‘পরিকল্পনা ছিল টাকা লুটের’

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসায় সত্তর বছর বয়সী শাহ মো. তোবারক হোসেন হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, তাদের পরিকল্পনা ছিল টাকা লুটের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2019, 08:50 AM
Updated : 29 Dec 2019, 10:27 AM

রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এঘটনায় আটজন জড়িত ছিল। তোবারককে খুন করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। তার বাসা থেকে টাকা লুট করতে গিয়েছিল। তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওই বাসার কেয়ারটেকার ইমন হাসান (২০), গোলাম রাব্বী (২৪), বাবুল প্রধান বাবু (২৮), সোহেল প্রধান (২৯) ও আলামিন খন্দকার রিহান (২১)।

শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বাতেন বলেন, এঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন বছর আগে চাকরিচ্যুত তোবারকের কর্মচারী শাহিনের সঙ্গে হৃদয় ও সিহাব নামে আরও দুজনকে খুঁজছে পুলিশ।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মহাখালীতে তোবারকের মালিকানাধীন ‘মামা প্লাজা’য় চাকরি করত শাহিন। আর্থিক অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে তাকে তাড়িয়ে দেন তোবারক। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই শাহিনই সোহেল প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে সাত মাস আগে তোবারকের বাসা থেকে অর্থ লুটের পরিকল্পনা করে।

“শাহিন জানত, তোবারক হোসেনের বাসায় বড় অংকের টাকা থাকে। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ইমনকে তোবারকের বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে পাঠায় তারা। ইমনের কাছ থেকে তোবারকের দৈনন্দিন রুটিন জেনে নেয় শাহিন।”

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার দিন ভোরে ভবনটির দারোয়ান গেইট খোলা রেখে পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে গেলে রাব্বী, বাবু, হৃদয়, রিহান ও সিহাব ইমনের কক্ষে এবং শাহিন ও সোহেল ভবনের বাইরে অবস্থান নেয়।

“তারা ছয়জন তোবারকের কক্ষে ঢুকে এবং তাকে ও তার সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা সাইফুলকে হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। তারা ধস্তাধস্তি করায় দুজনকেই ছুরি দিয়ে আঘাত করে চোখে মুখে স্কচ টেপ লাগিয়ে দেয়। পরে আলমারি ভেঙে নগদ টাকা লুট করে ইমনসহ সবাই পালিয়ে যায়। তোবারককে খুন করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না।”

গত বুধবার তেজগাঁওয়ের শিল্পাঞ্চল শান্তি নিকেতন আবাসিক এলাকার একটি ভবনের চার তলার ফ্ল্যাটে থেকে তোবারকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

তোবারক দীর্ঘদিন ধরে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে নিকেতনের বাসায় থাকতেন। তিন মেয়েকে নিয়ে মহাখালী এলাকায় আলাদা থাকেন তার স্ত্রী। এক ছেলে থাকেন দেশের বাইরে।