দেশজুড়ে সামগ্রিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত এক জাতীয় সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার এমন মন্তব্য আসে।
তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা বর্তমান বাংলাদেশের স্যানিটেশন, পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপদ পানির সহজলভ্যতার বিষয়টিকে কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারি না। একটা সময়ে যেখানে দেশের জনগণ সুষ্ঠু স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্পর্কে একেবারেই অন্ধকারে ছিল, এখনকার সময়ে এসে এক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে।”
স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউনিসেফ রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘ন্যাশনাল কনসালটেশন: ওয়াশব্যাট ফর কালেকটিভ ওয়াশ সেক্টর রিভিউ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, “আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হল এসডিজি ৬.১ এবং ৬.২ এর বাস্তবায়ন করে নিরাপদ পানি এবং পরিচ্ছন্ন স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ অনুষ্ঠানের তিনটি সেশনে আটটি বিভাগীয় পর্যায়ে শহর এবং গ্রামাঞ্চলে ‘ওয়াশব্যাট’ কর্মশালার অধীনে স্যানিটেশন, পরিচ্ছন্নতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পোস্টার প্রদর্শনী, মেটা প্ল্যান প্রেজেন্টেশন ও ছবি প্রদর্শনীর মাধ্যমে আটটি দলগত পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। যেখানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করনীয় এবং ইতোমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরা হয়।
অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলাম, ঢাকা ওয়াসার প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা তাকসিম এ খান, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টমো হোজোমি, ইউনিসেফের ‘ওয়াশ’ প্রজেক্টের প্রধান দারা জনস্টোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।