রুম্পার মৃত্যুর তিন দিন পর শনিবার সন্ধ্যায় আটক সৈকতকে রোববার হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ঢাকার আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
গোয়েন্দা পুলিশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার রাজিব আল মাসুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সৈকতকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।”
গত বুধবার রাতে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর একটি গলিতে রুম্পার লাশ পাওয়ার পর তার মৃত্যু রহস্যজনক মনে হওয়ায় রমনা থানার এসআই আবুল খায়ের অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তখনও রুম্পার পরিচয় জানা যায়নি। পরদিন শনাক্ত হয় যে রুম্পা হবিগঞ্জে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক রোকনউদ্দিনের মেয়ে, তিনি পড়তেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে, থাকতেন মা-ভাইসহ মালিবাগে।
রুম্পার লাশ শনাক্ত হওয়ার পর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একে হত্যাকাণ্ড দাবি করে তার বিচারের দাবিতে সড়কে নামে। তাদের মুখে আসে সৈকতের নাম। রুম্পার এক বান্ধবী বলেন, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের বিবিএর ছাত্র সৈকত রুম্পার সাবেক প্রেমিক।
তারপর শনিবার সন্ধ্যার পর খিলগাঁও এলাকা থেকে সৈকতকে আটক করে পুলিশ।
তবে রুম্পার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও রহস্যময় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে।
লাশ পাওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল, আশপাশের উঁচু কোনো ভবন থেকে পড়ে রুম্পার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও সেই ইঙ্গিতই রয়েছে। কিন্তু আশপাশের ভবনগুলোর বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে প্রামাণ্য কিছু পায়নি পুলিশ।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে তিনটি ভবনের মাঝে রুম্পার মৃতদেহ পাওয়া গেছে, সেখানকার একটি ভবনের প্রবেশমুখে ৬ টা ২৭ মিনিটে রুম্পার শারীরিক গঠনের মতো একজনকে ঢুকতে দেখা গেছে। কিছুটা অস্পষ্ট ওই ছবি, ফলে সেটা রুম্পা কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
সৈকতকে হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিছু তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।