সেই ২০ জানুয়ারিই হবে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার রায়

১৯ বছরে আগে যে দিনটিতে ঢাকায় সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছিল, আগামী বছরের জানুয়ারির সেই দিনটিতেই এই মামলার রায় হতে যাচ্ছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2019, 02:05 PM
Updated : 1 Dec 2019, 04:19 PM

এই মামলায় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম রায় জন্য ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দিয়েছেন।

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির লাল পতাকা সমাবেশে বোমা হামলা হয়েছিল; তাতে দলটির কর্মী খুলনার হিমাংশু মণ্ডল ও আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরার আবুল হাসেম, মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন এবং খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস রায় নিহত হন। আহত হন অনেকে।

ওই ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মনজুরুল আহসান খান মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন।

দুই বছর পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোমিন হোসেন।

তিনি আদালতকে বলেন, তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগসূত্র পেয়ে ২০০৫ সালে আবার মামলাটির তদন্ত শুরু হয় আদালতের আদেশে।

সাত তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মৃণাল কান্তি সাহা ১৩ আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।

২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার, পাঁচ বছর পর তা রায়ের পর্যায়ে এল।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। তবে আসামিপক্ষে কেউ সাফাই সাক্ষ্য দেননি।

এই মামলায় মোট ১৩ জন আসামিকে বিচারে সোপর্দ করা হয়। তারা হলেন- হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম।

এর মধ্যে অন্য মামলায় শীর্ষ জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বাকি আসামিদের মধ্যে মুফতি মঈন উদ্দিন, আরিফ হাসান সুমন, সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকলেও আটজন পলাতক রয়েছেন।