শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে রাষ্ট্রপতি কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় পৌঁছান।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
এছাড়া ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, আইজিপিসহ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নেপালের স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৫টায় রাষ্ট্রপতি ঢাকার উদ্দেশ্যে কাঠমান্ডু ছাড়েন। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।
বিদ্যা দেবীর আমন্ত্রণে মঙ্গলবার কাঠমাণ্ডু পৌঁছান আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। ওই দিন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যভুক্ত ভক্তপুর দরবার স্কয়ারে যান রাষ্ট্রপতি।
বুধবার নেপালের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি। বিদ্যা দেবীর দেওয়া নৈশভোজেও তিনি অংশ নেন।
একই দিন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলিও সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। এছাড়া নেপালের ভাইস প্রেসিডেন্ট নন্দ বাহাদুর পুন, নেপাল পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ারপার্সন গনেশ প্রসাদ তিমিলসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা ও নেপালি কংগ্রেস পার্টির প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর দেউবা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল (প্রচণ্ড) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়া জলবিদ্যুৎ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানো এবং কানেকটিভিটি বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
নেপালের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত লক্ষ্যে যে কর্মসূচি তারা নিয়েছে, তা সফল করতে বাংলাদেশকে পাশে চায় তারা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার নেপাল সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে চড়ে পোখারা যান রাষ্ট্রপতি হামিদ। সেখানে মনোরম ফেওয়া লেক এবং হিমালয় পর্বতমালার সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন তারা। পরে স্থানীয় রূপাকোট রিসোর্টে গিয়েও কিছু সময় কাটান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির এই সফর উপলক্ষে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন সড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় আবদুল হামিদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। পোখারা শহরও একইভাবে সাজানো হয়।