মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এর গভর্নর বোর্ডের ৩৪তম সভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশত মানুষ।
বেপজার গভর্নর বোর্ডের সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ব্যাপারে আমাদের রেলের যারা কাজ করেন তাদের সতর্ক করা উচিত। সেই সাথে সাথে যারা রেলের চালক তাদেরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।”
“ঠিক জানিনা কেন এই শীত মৌসুম আসলেই কিন্তু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই রেলের দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে।”
রেল যোগাযোগ নিরাপদ সে কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “রেলযোগাযোগ সবচেয়ে নিরাপদ এবং আমরাও এ ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা নতুন রেল সম্প্রসারণ করে যাচ্ছি। পণ্য পরিবহন, মানুষ পরিবহন সবক্ষেত্রেই রেল নিরাপদ।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদ্ধার তৎপরতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রেলমন্ত্রী চলে গেছেন, উদ্ধার ও প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হচ্ছে।”
দুর্ঘটনার পর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের চালককসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাশাপাশি দুর্ঘটনা তদন্তে রেলের পক্ষ থেকে চারটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।