চলমান শুদ্ধি অভিযানে যেসব ওয়ার্ড কাউন্সিলর গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে অনিয়মের ‘তেমন কিছু পাওয়া যায়নি’ বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
Published : 03 Nov 2019, 10:13 PM
তিনি বলছেন, অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা এবং বাইরে ব্যক্তি হিসেবে ঠিকাদারি কাজের ক্ষেত্রে ‘অনিয়ম করেছেন’ তারা।
রোববার সচিবালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নে একথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
চলমান শুদ্ধি অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, “আসলে বাংলাদেশকে একটি উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীর। এজন্য একটা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এ উন্নয়নে বাধা হচ্ছে দুর্নীতি। স্বাভাবিকভাবেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল, সেটাই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান ‘সব সময় চলমান ছিল’ দাবি করে তাজুল ইসলাম বলেন, “এখন হয়ত এটা দৃশ্যমান হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধু ওয়ার্ড কমিশনারকে নয়, দলের অন্যান্য পদে আসীন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতির সাথে যার সম্পর্ক পর্যায়ক্রমে এদের কাউকে ক্ষমা করা হবে না।”
ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় বা সিটি করপোরেশনের তদারকির অভাব ছিল কি না জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “আসলে সিটি কর্পোরেশনে তাদের যে দায়িত্ব্, সে দায়িত্বের মাঝে তো তারা অপরাধ করেছে বলে যে সমস্ত খবরা-খবর পাই, তাদের দায়িত্বের মধ্যে তাদের যে বরাদ্দ দেওয়া হয় সেগুলো তেমন বেশি কিছু মনে হয় না হয়েছে। আমরা পাচ্ছি বিভিন্ন ঠিকাদারি, অন্য খানে তারা কাজ করছেন ব্যক্তি হিসাবে এবং অন্যান্য ক্যাসিনোর একটা কথা আসছে।
“ক্যাসিনোর ব্যবসা করা বাংলাদেশে আইন অনুযায়ী নয় এবং অবৈধভাবে তারা সেটা করেছেন। এই সমস্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এবং দুদক মনে করছে, তাদের আয় প্রদর্শিত আয় নয়। সেগুলো নিয়ে প্রচলিত আইন আছে, সে অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিটি কর্পোরেশনে যে দায়িত্বগুলো তাদের উপর বণ্টন করা ছিল, সে দায়িত্বগুলোর মাঝে দুর্নীতির তেমন তথ্য খুব বেশি একটা প্রকাশিত হয়নি।”
কাউন্সিলরদের না পেয়ে নানা সমস্যায় পড়ার কথা জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। বিভিন্ন কাজে কাউন্সিলরের সনদপত্র ও অনুমতিপত্র প্রয়োজন হলেও তারা পাচ্ছেন না।
যে এলাকায় কমিশনার থাকছে না সেখানে উন্নয়ন কাজে বাধা হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্র একটি ব্যবস্থাপনার উপরে প্রতিষ্ঠিত। এক ব্যক্তির অবর্তমানে এ ব্যবস্থাপনাই কাজগুলো সম্পন্ন হবে। সব জায়গাতেই বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে।
“প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও সিটি কর্পোরেশন যে ম্যানেজমেন্টের উপর প্রতিষ্ঠিত সে অনুযায়ী কাজ চলছে। আমার মনে হয়, এজন্য কোথাও কাজের গতি স্লথ হবে না।”