রোববার সকাল সোয়া ৯টায় বেলুন-পায়রা উড়িয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান।
২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর জাতীয় সংসদে আইন পাশের মধ্য দিয়ে কলেজ থেকে রূপান্তরিত হয়ে যাত্রা শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হলেও ছাত্রাবাসসহ অন্যান্য সুবিধা না থাকায় নিয়মিত আন্দোলন করে এসেছে শিক্ষার্থীরা। এবার সেসব দাবি পূরণ হবে বলে তাদের আশা।
লাগাতার আন্দোলনের পর ২০১৪ সালে প্রথম ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে এখন হলটির কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। জানুয়ারিতে হলটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফরা শাহরীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের সিনিয়ররা হলের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে। হল হচ্ছে হচ্ছে শুনে আমরাও অনেকদিন কাটিয়ে দিয়েছি। এতদিনে হলের কাজ শেষ হচ্ছে।
“আমরা দ্রুত হলে উঠতে চাই। আশা করছি, পরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলে থেকেই উদযাপন করতে পারবো।"
সাবেক শিক্ষার্থী রাজীব দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সমাবর্তন নেওয়ার স্বপ্ন সব শিক্ষার্থীরই থাকে। কয়েকটি আন্দোলনের পর কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হয়েছে। এভাবেই শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাগুলো পূরণ হলে পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা ভোগ করতে পারবে তারা।
এদিকে সমাবর্তনের পরপরই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে নির্বাচনের গঠনতন্ত্র তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধনের সুপারিশ সিন্ডিকেটে অনুমোদনের জন্য জমা দিয়েছে গঠিত কমিটি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রসেনজিৎ সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্বাস অনুযায়ী, সমাবর্তনের পরপরই জকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে আবার আন্দোলন হবে।
১৮৫৮ সালে ঢাকা ব্রাহ্ম স্কুল নামে বুড়িগঙ্গার তীরে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে ১৮৭২ সালে বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী বাবার নামে ‘জগন্নাথ স্কুল’ নামকরণ করেন।
১৮৮৪ সালে এটি দ্বিতীয় শ্রেণীর কলেজে ও ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণীর কলেজে উন্নীত হয়। একসময় ঢাকায় উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় জগন্নাথ কলেজের স্নাতক কার্যক্রম। পরিণত হয় উচ্চমাধ্যমিক কলেজে। ১৯৪৯ সালে আবার এ কলেজে স্নাতক কার্যক্রম শুরু করা হয়।