জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহানউদ্দিন শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাসে আগুন লেগে লাশগুলো এতোটা পুড়ে গেছে যে চেনার উপায় নেই।
“আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, নিহতদের মধ্যে আমাদের সাতজনের মত থাকতে পারে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।”
বুধবার সন্ধ্যায় মদিনা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে মারকাজ আল-আখাল এলাকায় হিজরা রোডে ওই দুর্ঘটনায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন চারজন।
আল-আখাল গ্রামের কাছে সড়কের সংস্কার কাজে থাকা একটি লোডারের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। সৌদি সংবাদমাধ্যমে আসা ছবিতে বাসটি জ্বলতে দেখা যায়।
সৌদি সংবাদ মাধ্যমের খবরে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, নিহতরা সবাই সৌদি প্রবাসী বিদেশি। তারা এশিয়া ও বিভিন্ন আরব দেশের নাগরিক।
দার আল-মিকাত ওমরাহ এজেন্সির মালিক সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক শেখ লিয়াকত আহম্মেদকে জানান, দুর্ঘটনায় পড়া ওই বাসে ১১ জন পাকিস্তানী, ১৩ জন ভারতীয়, ৯ জন বাংলাদেশি, ৫ জন ইয়ামেনি যাত্রী ছিলেন। আর বাসের চালক ছিলেন সিরিয়ার নাগরিক।
জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা বলছেন, বাসযাত্রার শুরুতে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি ওই দলে ছিলেন বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন পরে নেমে যান।
কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহানউদ্দিন বলেন, “ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হতে আমরা সৌদি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। নিশ্চিত হতে পারলে আমরা তখন জানাতে পারব।”