বৃহস্পতিবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য ।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাবুল চিশতীর ভাই দি ওয়েল টেক্স লিমিটেডের এমডি মাজেদুল হক ওরফে শামীম চিশতী, ব্যাংকটির সাবেক এমডি এ কে এম এম শামীম, শাবাবা অ্যাপারেলসের মালিক মো. আবদুল ওয়াদুদ ওরফে কামরুল, এডিএম ডাইং অ্যান্ড ওয়াশিংয়ের মালিক রাশেদ আলী, তনুজ করপোরেশনের মালিক মো. মেফতাহ ফেরদৌস, মেসার্স মোহাম্মদ আলী ট্রান্সপোর্টের মালিক মো. গোলাম সারোয়ার ও ক্যানাম প্রোডাক্টসের মালিক ইসমাইল হাওলাদার।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা থেকে ফান্ডেড ও নন ফান্ডেডসহ ৮৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করে।
যে ৮৮ কোটি ১৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা গত ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সুদসহ ১১৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার দাঁড়িয়েছে।
২০১৪ সালের ২৬ জুন থেকে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।
মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, “বাবুল চিশতী অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকিং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ভাইকে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করেছেন। এছাড়া ব্যাংকটির এমডি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করেছেন।”
এর আগে ফারমার্স ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে বাবুল চিশতী, তার স্ত্রী-ছেলেসহ ব্যাংকটির বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় চারটি মামলা করে দুদক।
সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য বেশি দেখানোসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকটি থেকে ঋণ দেওয়ার অভিযোগে বাবুল চিশতীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এছাড়া গত বছরের ১০ এপ্রিল মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় বাবুল চিশতীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে দুদক। আদালতে এ মামলাটির অভিযোগপত্র দিয়েছে কমিশন।
গত বছরের ৮ অগাস্ট দায়ের করা আরেকটি মামলায় বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে ফারমার্স ব্যাংকের অর্থে প্রভাব খাটিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
এরপর একই বছরের ২৮ অক্টোবর একটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া এবং সেই অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয় বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে। এ মামলায় তার সাথে আরও পাঁচজনকে আসামি করে দুদক।