ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আবাসন ব্যবসায়ী কারাগারে

এক নারীকে চাকরি দেওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীতে গ্রেপ্তার দুই আবাসন ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2019, 06:33 PM
Updated : 1 Oct 2019, 05:34 AM

এরা হলেন- আর্থ হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল কামাল চৌধুরী এবং ইনটেক্স প্রপার্টিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন সিকদার।

তারা দুজনই আবাসন ব্যবসায়ীদের সমিতি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) পরিচালক।

রোববার রাতে তাদেরকে ধানমণ্ডির ১৩ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পারভেজ হোসেন জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার রাতে এক নারী থানায় অভিযোগ করেন যে, ‘কয়েকদিন আগে তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে’ ধানমন্ডি ১৩ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

“অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুজনকে ওই অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

রিহ্যাবের ওয়েবসাইটে শাকিলের প্রতিষ্ঠান আর্থ হোল্ডিংসের কার্যালয় হিসেবে ‘লিভিং স্পেস কমপ্লেক্স’ নামের ধানমণ্ডির ১৩ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাড়ির ই১/বি নম্বর ফ্ল্যাটের ঠিকানা দেওয়া আছে।

আর মহিউদ্দিনের ইনটেক্স প্রপার্টিজের কার্যালয় গুলশানের নিকেতনের সি ব্লকের ৭ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায়।

সোমবার বিকালে দুই ব্যবসায়ীকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে যান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আশফাক রাজীব হাসান। তিনি দুই আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

শাকিল কামাল ও মহিউদ্দিনের পক্ষে জামিনের আবেদন হলেও তা নাকচ করে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী।

শুনানিকালে বিচারক মামলাটিতে আসামিদের রিমান্ড না চাওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, “বুঝলাম না, কেন রিমান্ড চাইল না?”

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বলেন, “হয়ত পুলিশ পরে রিমান্ড চাইবে।”

রিমান্ড কেন চাননি- এ প্রশ্নের উত্তরে মামলার তদন্ত কমর্কর্তা আশফাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন পড়েনি।

“কেননা বাদী, যিনি মামলার ভিকটিম, তিনি নিজে আসামিদের শনাক্ত করেছেন। আর আসামিরাও পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।”

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলার বাদীর বাড়ি চাঁপাইনাবাবগঞ্জে। আসামি শাকিলের সঙ্গে তার ৭/৮ মাস আগে ফেইসবুকে তার যোগাযোগ ঘটে। বাদী আসামি শাকিলকে একটি চাকরির কথা বলে। তখন শাকিল তাকে ঢাকায় আসতে বলেন।

বাদীর অভিযোগ, ঢাকায় আসার পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর ধানমণ্ডির ওই বাড়িতে ডেকে নিয়ে শাকিল ও মহিউদ্দিন তাকে ধর্ষণ করেন।