ভূমি জরিপে দুর্নীতি, স্বীকার মন্ত্রীর

ভূমি জরিপের কাজে যুক্তরাই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে বলে ভূমি অফিসগুলো ডিজিটাইজেশেনে জোর দিচ্ছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2019, 01:22 PM
Updated : 18 Sept 2019, 01:22 PM

বুধবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ল্যান্ড স্ট্যাটাস রিপোর্ট-২০১৭’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি জরিপে দুর্নীতির কথা তোলেন।

সাইফুজ্জামান বলেন, “অনেকগুলো সমস্যা আছে, যেমন জরিপ নিয়ে সমস্যা। যেটা আমার জন্য পেইনফুল হয়ে গেছে। যে জায়গায় যায় জরিপ, সেই জায়গায় লোক হয় কোটিপতি। অবস্থা এমন হয়েছে।”

তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, “জরিপের লোকেরা রুথলেস। স্যরি, রুথলেসের চেয়ে আর খারাপ ওয়ার্ড ইউজ করতে চাইনি। পাশে যদি আরেকটি খারাপ শব্দ ব্যবহার করতে পারতাম, তাহলে ভালো লাগত। কিন্তু আমি পারছি না। এদেশের সন্তান তারা, কিন্তু তাদের মধ্যে লোভ-দুর্নীতি!”

এই সমস্যা নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে ‘ছাড় দিয়ে’ বিভিন্ন জায়গায় ভূমি জরিপ কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “রাতারাতি সব কিছু পরিবর্তন সম্ভব না। কারণ বহু মানুষের মধ্যে লোভ-দুর্নীতি কাজ করে। জমির ব্যাপারে ভাইও ভাইকে ছাড় দেয় না।”

ভূমি কার্যালয়গুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ডিজিটাইজেশনের উপর জোর দিয়ে সাইফুজ্জামান বলেন, “সব কিছু ডিজিটাইজেশন হলে মানুষকে অফিসে এসে কাজ করাতে হবে না, তখন দুর্নীতির প্রশ্নই উঠবে না।”

তিনি বলেন, “ভূমি মন্ত্রণালয় হচ্ছে সেবামূলক মন্ত্রণালয়। একটি ফাইভ স্টার হোটেল, একটি থ্রি স্টার হোটেলে যে সেবা পাওয়া যায়, তা যেন ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যায়। এই মন্ত্রণালয়কে একটি জবাবদিহিতার জায়গায় আনতে চাই।”

ভূমি আইন সংস্কারের প্রয়োজন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান এমনকি ব্রিটিশ আমলের আইনে চলছে ভূমির কাজ। আমরা ভূমির জন্য সুন্দর একটি ব্যবস্থা করতে চাই।”

অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এলআরডি) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবুল বারকাত সম্পাদিত  ‘বাংলাদেশ ল্যান্ড স্ট্যাটাস রিপোর্ট-২০১৭’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়।

বইয়ের মূল প্রতিপাদ্যের উপর আলোচনা করে তিনি বলেন, প্রতি জেলায় কতটুকু খাস জমি রয়েছে তা হিসেব করা দরকার।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারপার্সন খুশি কবিরের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিক-উজ জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আইনুন নাহার বক্তব্য দেন।