চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ঈদের ছুটির মধ্যে এক মাসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া আছাদুজ্জামান মিয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
শফিকুল ইসলামের জায়গায় নতুন সিআইডি প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে। আর পুলিশের বিশেষ শাখায় দায়িত্বরত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মাহবুব হোসেন ও বিশ্বাস আফজাল হোসেনকে পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিসিএস অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করা শফিকুল ইসলাম ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর তার অবসরের যাওয়ার কথা রয়েছে।
শফিকুল ইসলাম এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরের সহিংস রাজনৈতিক অবস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সে সময় বন্দরনগরীতে রাজনৈতিক সহিংসতা দমনে সফলতার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম।
চট্টগ্রামের কমিশনারের দায়িত্ব পালন শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জ এবং তারপর ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির দায়িত্বও পালন করেছেন শফিকুল ইসলাম। পরে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়ে এন্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান এবং তারপর সিআইডি প্রধান হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশকে আরও গতিশীল করতে তিনি তার অবস্থান থেকে ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা’ চালিয়ে যাবেন।
এজন্য সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
গত ১৩ অগাস্ট আছাদুজ্জামান মিয়ার অবসরের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এক মাসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। এরপরেই নতুন কমিশনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
সিআইডি প্রধানের দায়িত্বে আসা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও অষ্টম বিসিএসের কর্মকর্তা। সুনামগঞ্জের শাল্লা থানা এলাকার মামুনের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি। ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি তার অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে তিনি নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার, ডিএমপির উপ-কমিশনার ও ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির দায়িত্ব পালন করেন।