বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ভবন সংলগ্ন এলাকায় রবিউল ও সজল নামে এই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
এনআইডি জালিয়াত চক্রে জড়িতদের ধরতে নির্বাচন কমিশনের তৎপরতার মধ্যে এ দুজনকে আটক করা হল।
এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বলেন, “দুজন দালালকে ধরে আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদ করেছি। এনআইডি সংশোধন কিংবা হারানো কার্ড তুলে দেওয়ার কথা বলে তারা সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে।”
এ কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন কমিশনের আশপাশে এনআইডি সেবা নিয়ে প্রতারণা করে এসব দালালরা। তাদেরকে ধরার জন্যে এনআইডি উইং বরাবরই সক্রিয়। রবিউল ও দুলালের কাছে দালালচক্রের তথ্য পাওয়া যায় কিনা তা দেখা হচ্ছে। তাদেরকে পুলিশে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে।
২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র চালুর পর ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে এনআইডি সেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে।
সর্বশেষ চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে এক রোহিঙ্গা নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি এবং তার তথ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ নিয়ে জড়িতদের ধরতে তৎপর হয় কমিশনও।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তৎরতা
চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা নারীর এনআইডি জালিয়াতিকে কেন্দ্র করে মাঠ কর্মকর্তাদের ফের নতুন করে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
ইসির যুগ্মসচিব আব্দুল বাতেন বলেন, “এ জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের সণাক্ত করে ইসির একটা টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে। তারা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে। সেই সঙ্গে মাঠ কর্মকর্তাদেরকে বলা হয়েছে- রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে সম্পৃক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, “রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে সহায়তা করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। ইসির সংশ্লিষ্ট কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।”