অনেক তথ্য পাচ্ছি, সতর্ক হন: হুঁশিয়ারি দুদক কর্মকর্তাদের

দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিষয়ে হুঁশিয়ার করলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2019, 12:50 PM
Updated : 22 August 2019, 12:50 PM

বৃহস্পতিবার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার বিভাগীয় পরিচালক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, প্রধান কার্যালয়ের সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালকদের নিয়ে ‘জরুরি’ এক সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

সব কর্মকর্তাদের মানুষের সঙ্গে বিনয়ী আচরণের আহ্বান জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “টেলিফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেকের রূঢ় আচরণের তথ্য আমরা পাই, সতর্ক হন।”

সম্প্রতি পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছিরের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তে আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আয়োজিত এই সভায় ইকবাল মাহমুদ বলেন, “অনুসন্ধান বা তদন্তে কোনো প্রকার অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব, শৈথিল্য, যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে, কর্মকর্তাদের এমন কোনো আচরণ কমিশন ন্যূনতম সহ্য করবে না।”

তিনি বলেন, “প্রতিটি কর্মকর্তা আমাদের ঠিক ততক্ষণই প্রিয় থাকবেন , যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার দায়িত্ব সততা ও স্বচ্ছতার সাথে পালন করবেন। যারা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন, তারা কোনো প্রকার অনুকম্পা পাবেন না।"

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “আমি বার বার আপনাদেরকে সতর্ক করি, তারপরও যখন অভিযোগ আসে, তখন ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ থাকে না।”

দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ইকবাল মাহমুদ।

তিনি বলেন, “অনুসন্ধানের টাইমলাইন নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। এখন থেকে যারা টাইম লাইন অনুসরণে ব্যর্থ হবেন, তাদের উচিত হবে অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করা। কারণ এ সুযোগ দুদকের বিধিতে রয়েছে।"

অনুসন্ধান বা তদন্ত দেরিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “এখন থেকে পরিচালক বা মহাপরিচালক পর্যায়ে কোয়ারি দিয়ে নথি নিচে নামিয়ে দেওয়া যাবে না। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনো কোয়ারি দেওয়া যাবে না।

“আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে মানুষের আস্থার প্রতীক বানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কারও গাফলতি কিংবা স্বেচ্ছাচারিতার কাছে এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে দেওয়া হবে না।”

ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান ও দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম উপস্থিতও ছিলেন।