গত রোববার সিটি ব্যাংকের সাবেক এক নারী অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) নারী নির্যাতন দমন আইনে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় তিনি তিন আসামির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, শ্লীলতাহানিতে সহায়তা এবং অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও হুমকির অভিযোগ আনেন।
ওই নারী বলেন, ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তাদের কথামতো কাজ না করায় গত ২৭ মে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং এক্ষেত্রে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার পাওনাও পরিশোধ করা হয়নি।
বুধবার মামলাটি ঢাকার আদালতে উঠলে তা তদন্ত করে আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ আসে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক স ম কাইয়ুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।”
মামলার তিন আসামি ইতোমধ্যে হাই কোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে যৌন নিপীড়নের ওই মামলার পর মঙ্গলবার অর্থ আত্মসাত, বিশ্বাসভঙ্গ, অর্থের জন্য হুমকির পাল্টা অভিযোগ এনে চাকরিচ্যুত ওই নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
ব্যাংকের পক্ষে ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম আইয়ুব উল্যা গুলশান থানায় মামলাটি করেন, এই মামলাও তদন্ত করছেন আগের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম।
এই মামলারও তদন্ত এবং আসামি ওই নারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তিনি।
মামলাটির বিষয়ে কথা বলতে সিটি ব্যাংকের সাবেক ওই নারী কর্মকর্তার মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
সিটি ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে কল করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।