দুর্নীতির মামলা: গোয়ালন্দের সাবেক ওসি এবং স্ত্রীর সাজা

আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের দুই মামলায় গোয়ালন্দ থানার সাবেক ওসি সাইফুল ওসি এবং তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2019, 01:00 PM
Updated : 21 August 2019, 01:02 PM

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এক মামলায় সাইফুল ইসলামকে সাত বছর ও জাকিয়া ইসলাম অনুকে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি সাইফুল ইসলামকে তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর তার স্ত্রীকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে।

এছাড়া সম্পদ গোপন ও আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের আরেক মামলায় সাইফুল ইসলামকে পৃথক দুই ধারায় আরও সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

পৃথক তিন ধারায় সাইফুল ইসলামের দণ্ডাদেশ একসাথে কার্যকর হবে। সে হিসেবে সাইফুল ইসলাম সাত বছর কারাভোগ করতে হবে। 

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে আসামি করে ২০১০ সালের ২২ জুন রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোজাহার আলী সরদার।

এই মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দুদক সাইফুল ইসলাম এবং তার স্ত্রীকে সম্পদ বিবরণীর  নোটিস দিয়েছিল। ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাইফুল ইসলাম নিজের, স্ত্রী ও পোষ্যদের নামে অর্জিত সর্বমোট ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ২১ টাকার সম্পদ গোপন করে কমিশনে তথ্য দেন।

আর জাকিয়া ইসলাম ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার তথ্য কমিশনে জমা দেন। ২ কোটি ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৬ টাকার উৎস না থাকায় এবং বিপুল পরিমান জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ নিজ দখলে রাখার অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৯২৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সাইফুলের ইসলামের বিরুদ্ধে একই দিন মোজাহার আলী সরদার অন্য মামলাটি দায়ের করেন।

২০১১ সালের ৪ অগাস্ট আদালত দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।