অপরিচ্ছন্ন শিশু হাসপাতাল, অস্বস্তিতে অভিভাবকরা

চিকিৎসক-নার্সদের সেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশের দিকে আঙুল তুলছেন ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের অভিভাবকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকমেহেরুন নাহার মেঘলাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2019, 02:29 PM
Updated : 19 August 2019, 02:29 PM

নোংরা আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তারা শঙ্কা  প্রকাশ করছেন, হাসপাতালে এমন অবস্থা থাকলে তারাও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন।

হাসপাতালে নোংরা পরিবেশের কথা স্বীকার করেছেন পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শফি আহমেদও। তবে সেজন্য রোগী ও অভিভাবকদের চাপই ‘অনেকটা দায়ী’ বলে মনে করছেন তিনি।

অধ্যাপক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ”পাঁচ জনের জায়গায় ২০ জন যদি ব্যবহার করে, তাহলে একটু নোংরা হবেই। এই চাপের মধ্যে ম্যানেজ করা মুশকিল। আর অনেক ক্লিনার ঈদের ছুটিতে গেছে। সে কারণে একটু অপরিচ্ছন্ন হয়েছে হয়ত।

এই নোংরা পরিস্থিতি ঠিক হতে ‘বেশিদিন লাগবে না’ বলে প্রতিশ্রুতি দেন হাসপাতালের পরিচালক। 

পাঁচ দিন ধরে ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়ে সেঁজুতি মণ্ডলকে নিয়ে ঢাকার এই হাসপাতালে আছেন তার মা। মেয়েকে নিয়ে দিনরাত দুঃশ্চিন্তায় থাকার মধ্যে এখন নিজের স্বাস্থ্য নিয়েও ভয় ঢুকেছে রাজধানীর ভাটারা এলাকার বাসিন্দা এই নারীর মনে।

সেঁজুতির মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা কি একটা হাসপাতালের পরিবেশ হল! হাসপাতালের অবস্থা যদি এই রকম হয়, মানুষ তাহলে কোথায় যাবে?”

তিনি বলেন, “ওয়ার্ডের চারদিকে এত ময়লা আবর্জনার কারণে এখানে সুস্থ অবস্থায় থাকাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”

একই অভিযোগ করেন আরেক ডেঙ্গু রোগী তাহমিনা আক্তারের অভিভাবক। তার মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানকার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়মিত ওয়ার্ডের মেঝে পরিষ্কার করতে আসে না। ফলে ময়লা জমেছে, মশাও বাড়ছে।”

অবশ্য চিকিৎসক ও নার্সদের তদারকি নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন দুই অভিভাবকই।

সোমবার হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও টয়লেট ঘুরে অভিভাবকদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় ময়লা-আবর্জনার স্তুপ।

রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে সোমবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রোগী যোগ হয়েছে ২৪ জন। ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছে ২৮ জন।