রুশেমা বেগমের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত

আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ রুশেমা বেগমের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতীয় সংসদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2019, 03:59 PM
Updated : 10 July 2019, 04:00 PM

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বুধবার অধিবেশনে শোক প্রস্তাবটি উত্থাপন করলে সর্বসম্মতভাবে তা গৃহীত হয়। 

চলমান সংসদের একজন এমপির মৃত্যুতে এরপর রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদ অধিবেশন মুলতবি করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরসহ অন্যান্য মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ফরিদপুরের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুশেমা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

তার স্বামী ইমামউদ্দিন আহমাদ এক সময় ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ইমামউদ্দিন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন।

দীর্ঘদিন ফরিদপুরের ঈশান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করা রুশেমা স্বামীর পদবিতে রুশেমা ইমাম নামেই বেশি পরিচিত। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবে শপথ নেন।

সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “রুশেমা বেগম কখনো কিছু চাননি। তিনি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন। শেখ রেহানার পরামর্শে তাকে সংরক্ষিত আসনের সদস্য করা হয়।”

এবারের বাজেট আলোচনায় স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে রুশেমা বেগমের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পূর্বপরিকল্পিতভাবেই পিলখানার ওয়ারলেসের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। প্রচার হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রত্যেক জেলায় সংগ্রাম পরিষদ এটা সংগ্রহ করে প্রচার শুরু করে।

“রুশেমা ইমাম বলেছিলেন, তার স্বামী গিয়ে পুলিশের কাছ থেকে তথ্যটি সংগ্রহ করে ফরিদপুরে প্রচারের ব্যবস্থা করেন। কেবল ফরিদপুর নয়, পুরো বাংলাদেশেই এই ঘোষণাটা প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়।”

রুশেমার ওই বক্তব্য সংগ্রহ করে প্রচারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা ইতিহাস বিকৃত করে যাচ্ছে, তাদের জন্য একটি জবাব দিয়ে গেছেন রুশেমা। বেঈমান মুনাফিকদের জন্য এটা ছিল একটি জবাব।”

অন্যদের মধ্যে বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, সরকারি দলর সাংসদ আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।