ফজল মাহমুদ নামে ওই পাইলটের পাসপোর্ট কাতারমুখী অপর একটি ফ্লাইটে পাঠানো হয়েছে বলে বিমান সচিব মহীবুল হক জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে আনতে বিকল্প হিসেবে আরেকজন পাইলটকে কাতারে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিমান সচিব বৃহস্পতিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাসপোর্ট ছাড়া ওই পাইলট কীভাবে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর পার হয়ে সেখানে গেলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দেশে সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে ফিনল্যান্ডে অবস্থান করছেন। শনিবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানান, ফিনল্যান্ড থেকে অপর একটি ফ্লাইটে কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা আসবেন তিনি।
এই লক্ষ্যে বুধবার রাতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেয়। বিশেষ এই ফ্লাইটে ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। রাতেই ওই ফ্লাইট দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তার পাসপোর্ট না থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।
পাসপোর্ট সঙ্গে না থাকায় ওই পাইলটকে বুধবার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন ‘আটকে দেয়’ বলে সোশাল মিডিয়ায় আলোচনার পর বিষয়টি সম্পর্কে সন্ধ্যায় সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
“পরে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে তার পাসপোর্ট পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ওই পাইলটই দেশে ফিরিয়ে আনবেন।”
পরে রাত ১১টার দিকে সচিব মহীবুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীকে আনতে শুক্রবার আরেকজন পাইলটকে কাতারে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের জন্য অগ্রবর্তী দল হিসেবে বুধবার রাতে একটি ফ্লাইটে যাত্রী হিসেবে ফজল মাহমুদ ও সাজ্জাদ নামে আরেকজন পাইলট, ফার্স্ট অফিসার ও ১২ জন কেবিন ক্রু ঢাকা থেকে দোহায় যান। পরে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট না থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।
“প্রধানমন্ত্রীকে আনতে আগামীকাল সন্ধ্যায় বিমানের বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে। ওই ফ্লাইটে যাত্রী হিসেবে আরেকজন পাইলটকে পাঠানো হবে। তিনি বা পাইলট সাজ্জাদ-এই দুজনের কেউ প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়েোজাহাজ নিয়ে আসবেন।”