মালিবাগের বিস্ফোরকটি শক্তিশালী ছিল: ডিএমপি কমিশনার

রাজধানীর মালিবাগে রোববার রাতে পুলিশসহ দুইজন যে বিস্ফোরকে আহত হয়েছেন, সেটি একটি শক্তিশালী ককটেল ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2019, 09:43 AM
Updated : 27 May 2019, 09:43 AM

সোমবার দুপুরে আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুঃস্থদের মধ্যে ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এস সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “গতকাল যেটি বিস্ফোরিত হয়েছে..প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এটি একটি ককটেল ছিল কিন্ত ইমপ্রোভাইজড। নরমাল ককটেলের চেয়ে এটি শক্তিশালী ছিল।

“প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটি গাড়িতে রাখা ছিল।”

রোববার রাত ৯টার দিকে মালিবাগ মোড়ে একটি গাড়িতে হঠাৎ বিস্ফোরণে ট্রাফিক পুলিশের এএসআই রাশেদা আক্তার (২৮) এবং রিকশাচালক লাল মিয়া (৫০) আহত হন। রাশেদার বাঁ পায়ে এবং লাল মিয়ার মাথায় জখম হয়েছে। 

পুলিশের ভাষ্য, মালিবাগ মোড়ে পেট্রোল পাম্পের উল্টো দিকে ফ্লাইওভারের নিচে এসবির একটি গাড়ি পার্ক করা ছিল। তার পেছনে একটি পিকআপ ছিল। হঠাৎ পিকআপে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জোঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে খবর দিয়েছে জঙ্গি ৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।

সকালে পুলিশ কমিশনার চিকিৎসাধীন লাল মিয়াকে হাসপাতালে গিয়ে দেকে আসেন।

আহতদের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তারা এখন ভালো আছে, চিকিৎসা চলছে।”

পুলিশের মনোবল ভাঙতেই এই অপচেষ্টা বলে জানান তিনি।

“একাজটি কারা করেছে? এটি জনগণের মাঝে ভীতি তৈরি করার জন্য। রাষ্ট্রের নাগরিকদের মাঝে ভীতি তৈরি করার জন্য, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য দেশি-বিদেশি অসাধুচক্র এ ঘটনা ঘটাতে পারে।”

পুলিশ কমিশনার বলেন, “আমরা তদন্ত করছি, কারা এর সাথে জড়িত, কি উদ্দেশ্য এটা করেছে বের হয়ে যাবে, একটু সময় দিন।

“প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পুলিশের মনোবল দুর্বল করার জন্যে এ ধরনের অপচেষ্টা করা হচ্ছে, ভীতি তৈরি করা হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে বলি, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দিয়ে পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া যায় না।

“২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে হামলার পরে মিরপুর, আজিমপুর, নারায়ণগঞ্জ, উত্তরখান, নর্থ বেঙ্গল, চট্টগ্রাম ও সিলেটে শত শত সফল অভিযানের মধ্য দিয়ে আমরা জানিয়ে দিয়েছি যে, দেশের স্বার্থে আমরা যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা প্রস্তুত থাকি।”

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল গুলিস্তানে পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোড়া হয়েছিল। তখনও আইএসের নামে দায় স্বীকারের বার্তা এসেছিল।

তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলা হলেও তার অগ্রগতির কোনো খবর জানা যায়নি।