শুক্রবার আফ্রিকার তিউনিসিয়া উপকূলে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু ঘটে; তাদের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশি বলে বিদেশি গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন রোববার ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, তিউনিসিয়ায় বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস না থাকায় সঠিক কোনো তথ্য এখনও পাননি তিনি।
এজন্য লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে তিউনিসিয়া পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই দূতাবাস কর্মকর্তা সোমবার নাগাদ তিউনিসিয়া পৌঁছবেন।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যতদূর শুনেছি, ওই নৌকায় ৫১ জনের মতো বাংলাদেশি ছিল, তার মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ জন মারা গেছে বলে আমাদের আশঙ্কা।”
সংঘাতময় লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যেতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রওনা হয়েছিলেন ওই নৌযাত্রীরা। ভোররাতে তিউনিসিয়া উপকূলে আরেকটি ছোট নৌকায় তাদের ওঠানোর পর ভারে তা ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ার জেলেরা সাগর থেকে ১৬ জনকে উদ্ধার করেন, তার মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি। এরা এখন তিউনিসিয়ার জারজিস শহরে রয়েছেন।
উদ্ধার অভিযান নিয়ে তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
এভাবে প্রাণহানির ঘটনা দুঃখজনক মন্তব্য করে মোমেন বলেন, সংঘাতময় লিবিয়ায় না যেতে বাংলাদেশিদের প্রতি নির্দেশনা রয়েছে।
“আমি এখনও জানি না, কেন তারা এরকম একটি ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় গেল।