‘উপ করে’ কাটবে করপোরেশনের দুর্দশা, ধারণা মেয়র খোকনের

সিটি করপোরেশন এলাকায় আদায় করা রাজস্ব থেকে উপকর দেওয়া হলে করপোরেশনগুলোর আর্থিক ঘাটতি থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2019, 11:37 AM
Updated : 24 April 2019, 12:01 PM

বুধবার নগর ভবনে আয়োজিত ১২ দিনব্যাপী পৌর কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য উপকর পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব রাখেন তিনি।

সাঈদ খোকন বলেন, “সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ অনুযায়ী সিটি করপোরেশনগুলো তার এলাকায় সরকারের অর্জিত আয়ের ওপর উপকর আরোপ করতে পারবে।”

এটি বাস্তবায়নে জোর দিয়ে তিনি বলেন, “এই আইনটি যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে করপোরেশনগুলোর আর্থিক দুর্দশা কেটে যাবে। কিন্তু বিধিমালা প্রণয়ন না করায় এখনও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।”

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মেয়র খোকন।

তিনি বলেন, “বছর দুয়েক আগে ঢাকার দুই মেয়র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার একান্ত সচিবকে নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

“আমি এবং উত্তরের মেয়র মহোদয় কয়েকবার গিয়েও আইন ও বিধিমালা পরিবর্তন করতে পারি নাই। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা আদৌ বাস্তবায়ন করা হয়নি।”

এই উপকর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হলে  ‘করপোরেশনগুলোর আর্থিক সঙ্কট কেটে যেত’ বলে মনে করেন সাঈদ খোকন।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যদি বাস্তবায়ন হত তাহলে শুধু ডিসিসি নয়, এগারোটি সিটি করপোরেশন আর্থিকভাবে শক্তিশালী হত। তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারত, বাসিন্দাদের সেবা দিতে পারত।

“এই অনুষ্ঠান থেকে আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হোক।”

মেয়রের পদে আসার পর নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে সাঈদ খোকন বলেন, এই ধারা অব্যাহত রাখতে চান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে দাবি করে করপোরেশনের মেয়র খোকন বলেন, “আমি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মাথায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্নের উপক্রম ছিল। আজ নগরী এলইডি বাতিতে আলোকিত। শতকরা ৯৯ ভাগ বাতি জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি। ৮৫ ভাগ রাস্তা চলাচলের উপযোগী।

“জলসবুজে ঢাকা প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ ও পার্কগুলো বদলে যেতে শুরু করেছে। আজ আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির ইতিবাচক পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমরা বদলে দিতে চাই এই শহরকে।”

রাজধানীর আয়তন বাড়লেও জনবল ও আর্থিক সক্ষমতা না বাড়ায় সেবা দিতে  সমস্যা হয় বলে মনে করেন মেয়র।

“আমরা যে পরিমাণ আয় করি তার চেয়ে চারগুণ উন্নয়ন ব্যয় হয়। সুতরাং আমাদের আর্থিক দিকটিও বাড়াতে হবে। আমাদের উভয় সিটির সক্ষমতা সেভাবে বাড়েনি। এভাবে চলতে পারে না। তাই আমরা সক্ষমতা বাড়াতে চাই।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, বিকাশ এবং ডিবিবিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।