সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে যে সতর্কতা জারি করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকলে সেটা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া তাদের কর্তব্য।
Published : 05 Apr 2019, 08:40 PM
তিনি বলেছেন, সন্ত্রাস শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের সমস্যা। সেখানে বাংলাদেশ ‘অত্যন্ত সফলতার’ সঙ্গে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন করতে পেরেছে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের চলাচলের ওপর নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়।
“বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, তাদের সহযোগী এবং এই সব সংগঠনের দ্বারা উদ্বুব্ধরা বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর হামলা করতে চায়।”
উগ্রপন্থিরা অনলাইনে অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি পশ্চিমা স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর মতো প্রতিষ্ঠানে হামলার আহ্বান রাখছে বলে দাবি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতায়।
শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “হঠাৎ দেখলাম আমেরিকা একটা সিকিউরিটি এলার্ট দিয়েছে। কী কারণে এলার্টটা দিল সেটা কিন্তু তারা আমাদের কাছে বলেও নি, ব্যাখাও দেয়নি।
বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, হঠাৎ আগুন লেগেছে সেখানে, আগুন তো সব দেশেই লাগে।
“ওই আমেরিকাতেও একটা সার কারখানা থেকে শুরু করে হাসপাতাল সবই পুড়ে শেষ। কতজন মারা গেছে সেই খবরও কেউ জানেনি। এ রকম বহু ঘটনা ঘটেছে। লন্ডনে আগুন লেগে ৭০ জন মারা গেল। আরও যে কত লোক মারা গেছে সেটার হিসেবও নেই। সেখানে হিসেবও হয় না। উদ্ধার কাজও আমাদের মতো এতদিন কেউ চালায় না।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাহলে এই এলার্টটা তারা কেন দিল? এটা আমাদের জানার বিষয় যে, কী কারণে দিল। যদি আগামীতে কোনো অঘটন ঘটতে যাচ্ছে এ তথ্য থাকে তবে তাদের দায়িত্ব আমাদের জানানো।”
“একটা ঘটনা ঘটার পর থেকে আমরা যথেষ্ট সজাগ, আমাদের ইন্টেলিজেন্স সব সময় সজাগ। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তারা সব সময় সতর্ক। এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে আমরা প্রত্যেকটা ঘটনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।
“এখন যদি তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকে, তবে তাদের কর্তব্য আমাদের অথরিটিকে জানানো।”