উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৪১.৪১%

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপেও ৪১ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2019, 01:48 PM
Updated : 25 March 2019, 01:48 PM

রোববার দেশের ১১৬ উপজেলায় এই ধাপের ভোট হয়। আরও ছয় উপজেলায় একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতন হন। এছাড়া অনিয়মের কারণে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ভোট বন্ধ করে দেয় কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সোমবার জানান, এ ধাপে ভোট পড়েছে ৪১.৪১ শতাংশ।এর আগে প্রথম ধাপে ৪৩.৩২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ৪১.২৫ শতাংশ ভোট পড়ে।

রোববার ভোট শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, “নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়ল, এটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। ভোটের পার্সেন্টেজ বিষয় নয়; বিষয়টা হলো শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হয়েছে কি না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে; এতে আমরা সন্তুষ্ট।”

ভোটারের উপস্থিতি কম হলে তা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না বলেও মনে করেন এই সরকারি কর্মকর্তা।

নির্বাচন কমিশনে মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, তৃতীয় ধাপে ভোটার ছিলেন এক কোটি ৮২ লাখ এক হাজার ৭৭০ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ভোট দিয়েছেন ৭৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৬ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৩টি ভোট বাতিল হয়। সে হিসাবে চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোটের হার গড়ে ৪১.৪১ শতাংশ।

তৃতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় সর্বনিম্ন ১৯.২৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলায় পড়েছে ৭২.৯১ শতাংশ ভোট।

দলীয় প্রতীকে এই প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলেও বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলের বর্জনের কারণে কোনো ধাপে ভোটেই লড়াইয়ের আমেজ দেখা যায়নি।

ইভিএমে ভোট গড়ে ৪৯%

রোববার মেহেরপুর, মানিকগঞ্জ, রংপুর ও গোপালগঞ্জ সদর- এ চারটি উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মানিকগঞ্জ ও মেহেরপুর সদর উপজেলায় একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। রংপুর ও গোপালগঞ্জ সদরে চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদেই ইভিএমে ভোট হয়।

রংপুর সদরে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৫২.৮২ শতাংশ। এক লাখ ২০ হাজারের বেশি ভোটারের মধ্যে ৬৩ হাজার ৪৭৩ জন চেয়ারম্যান পদে ভোট দেন।

গোপালগঞ্জ সদরে ৪৪.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে চেয়ারম্যান পদে। এ উপজেলায় আড়াই লাখ ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ৭ হাজার ৯৯ জন ভোট দেন।

চতুর্থ ধাপে ৬ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

নৌকায় বাড়ল আরও ৮৩

রোববারের ভোটে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৮৩ জন (এর মধ্যে ভোটে জিতেছেন ৫২ জন, বাকিরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), জাতীয় পার্টির একজন, স্বতন্ত্র ৩৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৭৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন; এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২৩ জন। জাতীয় পার্টির ২ জন ও স্বতন্ত্র ৩৮ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দ্বিতীয় ধাপে।

প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৫৮ জন নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে; এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৬ জন। আর ২৩ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এবার উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে পাঁচ ধাপে। আগামী ৩১ মার্চ চতুর্থ এবং ১৮ জুন পঞ্চম ধাপের ভোট হবে।