পুরান ঢাকার অভিযান থেকে প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্য বাদ

চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের কারখানা ও গুদাম সরাতে যে অভিযান চালাচ্ছে টাস্ক ফোর্স, তার আওতা থেকে বাদ দেওয়া হল প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্যকে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2019, 02:14 PM
Updated : 10 March 2019, 02:20 PM

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন রোববার উর্দু রোডে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় একথা জানান।

চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি, পঞ্চায়েত, স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভা আয়োজন করে বাংলাদেশ প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতি।

মেয়র খোকন বলেন, “বিস্ফোরক পরিদপ্তর প্লাস্টিক দানা ও অর্গানিক পিগমেন্টকে অবিপজ্জনক দাহ্য পদার্থ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

“বিস্ফোরক পরিদপ্তরের এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে নগর কর্তৃপক্ষ প্লাস্টিক দানা ও পিগমেন্টকে টাস্কফোর্সের অভিযানের আওতামুক্ত ঘোষণা করছে।”

তবে প্লাস্টিকের পণ্য বিক্রয়কারী দোকানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, পানি ও বালি বাধ্যতামূলকভাবে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টায় যে অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন নিহত হন, ওই আগুন দাহ্য পদার্থের জন্য বেশি ছড়িয়েছিল বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের উৎপত্তিস্থল হিসেবে যে ওয়াহেদ ম্যানশন চিহ্নিত হয়েছে, সেখানে প্লাস্টিক দানার গুদাম ছিল, ছিল রাসায়নিকও।

ওই অগ্নিকাণ্ডের পর টাস্কফোর্সের অভিযানে প্লাস্টিক দ্রব্যের গুদামও বন্ধ করা হচ্ছিল।

এখন প্লাস্টিককে বাদ দেওয়া পিছু হটা কি না- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এ প্রশ্নে মেয়র খোকন বলেন, “বিস্ফোরক পরিদপ্তর আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। তারা যখন বলছে জিনিসটা বিপজ্জনক না, তখন আমরা এটাকে এর আওতায় আনতে পারি না। এতে সাধারণ মানুষ খামাকা হয়রানি হবে। যেটা ক্ষতিকর সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব।”

রাসায়নিক কারখানা ও গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসনাত, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।