টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠনের পর সোমবার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে বসে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকাল ১০টায় এ বৈঠক শুরু হয়। প্রথম দিনের কার্যসূচিতে আলোচনার জন্য ছয়টি বিষয় রাখা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর গত ৭ জানুয়ারি চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীকে নিয়ে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন তিনি।
“দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে আকাঙ্ক্ষা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল, আমাদেরও সেই আকাঙ্ক্ষা। সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করব। একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব।”
মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আপনারা নিশ্চয়ই পড়েছেন, আমার দাদা তাকে যে কথাটা বলেছিলেন; যে কাজই কর না কেন, সিনসিয়ারিটি অব পারপাস অ্যান্ড অনেস্টি অব পারপাস…।
“আমি মনে করি এই দুটি কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মন্ত্রিপরিষদ এ কথাটি মনে রেখে যে কাজই করবেন, নিষ্ঠার সাথে ও সততার সাথে কাজ করবেন। প্রতিটি কাজ নিষ্ঠার সাথে করতে হবে- এ কথাটি মনে রাখতে হবে। জনগণের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব, কর্তব্য রয়েছে- সেটা পালন করতেই আমরা এখানে এসেছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “সততার শক্তি অপরিসীম, সেটা আমরা বারবার প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাহলেই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে এবং যে অগ্রযাত্রা আমরা শুরু করেছি সেটা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আশরাফকে ছোটবেলা থেকেই আমি চিনি। কামালের (বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। ছাত্রলীগ করত।”
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রবাসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা এবং পরে দেশে এসে সৈয়দ আশরাফের রাজনীততে সক্রিয় হওয়ার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।