রোববার ঢাকায় স্পেনের দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক অনুষ্ঠানে শিল্পীর হাতে এই পদক তুলে দেওয়া হবে।
পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় শিল্পী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেকোনো স্বীকৃতি একজন শিল্পীর জন্য অনুপ্রেরণার। যদিও কোনো ধরনের পুরস্কার পাওয়া না পাওয়ার সঙ্গে আমার শিল্পকর্ম সম্পৃক্ত নয়; তবে এ ধরনের স্বীকৃতি যেকোনো শিল্পীকে আনন্দ দেবে, কাজে উৎসাহ যোগাবে।”
নিজের চিত্রকর্ম সম্পর্কে শিল্পী মনিরুল বলেন, মানব মনের অস্পৃর্শ অনুভূতিগুলো তার কর্মে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। চিত্রকর্মে বোঝা না বোঝার কিছু নেই। প্রতিটি কর্মই শিল্পীর একটা চিন্তা অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ।
১৯৪৩ সালে চাঁদপুর জেলায় জন্ম নেওয়া এই শিল্পী পড়াশোনা করেছেন ঢাকার তৎকালীন আর্ট কলেজে। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদিনের একান্ত আগ্রহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। সেখানে ছিলেন ১৯৬৬-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত। তারপর স্পেন সরকারের বৃত্তি নিয়ে তিনি বিদেশে পাড়ি জমান। এরপর থেকে স্পেনেই স্থায়ীভাবে বাস করেন। সময় করে বছরের কয়েকটি মাস থাকেন বাংলাদেশেও।
স্পেন, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মনিরুল ইসলামের একক ও যৌথ চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৯৭ সালে তিনি স্পেনের রাষ্ট্রীয় পদক, ২০১০ সালে স্পেনের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা দ্য ক্রস অব দ্য অফিসার অব দ্য অর্ডার অব কুইন ইসাবেলা পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে একুশে পদক ছাড়াও শিল্পকলা একাডেমি পদকসহ বিভিন্ন পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন।