পোশাককর্মী ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ওই ছয়জনকে মঙ্গলবার ঢাকার হাকিম আদালতে নেয় পুলিশ; তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতের আবেদনও জানানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই ফজিকুল ইসলাম মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চান।
শুনানি শেষে হাকিম কামরুন নাহার ছয় আসামির প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের পরির্দশক মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার মো. জিন্নাহর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২২), একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে আজাদ হোসেন (২৪), জলিল সরকারের ছেলে রানা সরকার (২৮), কোণাপাড়া এলাকার আব্দুস সোবহান শেখের ছেলে রবিউল শেখ (২০), একই এলাকার মো. রিয়াজুলের ছেলে রুবেল (২২) ও ঘোষবাগ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন (২৪)।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই নারী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শাহজাদী তাহমিদার খাসকামরায় জবানবন্দি দিয়ে তার উপর নির্যাতনের বিবরণ দিয়েছেন।
সোমবার রাতে নরসিংহপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই নারী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তখন গ্রেপ্তার করা হয় ছয় আসামিকে।
নির্যাতিত ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে রোববার বিকালে নরসিংহপুর এলাকার সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় স্বামীর এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
তখন স্থানীয় ইউপি সদস্য তাহের মৃধার ‘ম্যানেজার’ রাজনের নেতৃত্বে সাত যুবক ওই বাড়িতে গিয়ে ওই নারীর স্বামীকে আলাদা কক্ষে আটকে রাখেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, স্বামীকে মারধর করে আটকে রেখে ওই নারীকে একে একে ধর্ষণ করে আসামিরা। এরপর ওই নারীর স্বামীর পরিবারের কাছে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসামিরা। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা আশুলিয়া থানার সাহায্য চাইলে পুলিশ অভিযানে যায়।