আশুলিয়া থানার এসআই ফজিকুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যায় নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার মামলার পর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন নরসিংহপুর এলাকার মো. জিন্নাহর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২২), একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে আজাদ হোসেন (২৪), জলিল সরকারের ছেলে রানা সরকার (২৮), কোণাপাড়া এলাকার আব্দুস সোবহান শেখের ছেলে রবিউল শেখ (২০), একই এলাকার মো. রিয়াজুলের ছেলে রুবেল (২২) ও ঘোষবাগ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন (২৪)।
এসআই ফজিকুল বলেন, সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় ওই স্বামী-স্ত্রী এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য তাহের মৃধার ম্যানেজার রজন, তার সঙ্গী রবিউলসহ সাতজন ওই দম্পতিকে আটক করে তারা স্বামী-স্ত্রী কিনা জানতে চায়।
“তারা তাদের ওই এলাকার নাছিরের বাড়িতে নিয়ে পৃথক ঘরে আটকে রাখে। পরে গভীর রাত পর্যন্ত ওই নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এছাড়া তারা তাদের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।”
পরে পরিবার আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দেয় বলে জানান এসআই ফজিকুল।
তিনি বলেন, পুলিশ মুক্তিপণ দেওয়ার ফাঁদ পাতে। সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় রবিউল ও রুবেল মুক্তিপণ নিতে এলে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় আটক স্বামী-স্ত্রীকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ইয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তাহের মৃধার অফিস থেকে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করে পুলিশ।