মঙ্গলবার মাঠ কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই ইঙ্গিত দেন তিনি।
সিইসি বলেন, “তফসিল ঘোষণার পর জানতে পারব সরকারের অবস্থান কী থাকবে, এমপিদের অবস্থান কী থাকবে।… আমরা দেখি [সরকার] এমপিদের কীভাবে রাখে।
“হ্যাঁ, আচরণবিধির কিছু কিছু পরিবর্তনের উদ্যোগ নেব।”
আগামী কমিশন বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান সিইসি।
নূরুল হুদা বলেন, “আজকের (মঙ্গলবার) মাঠ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এমপিদের প্রচার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।”
ইসি আইন সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তিন-চারদিন পর কমিশন বৈঠক হবে। সেদিন আলোচনা হবে।”
সংসদ বহাল থাকায় সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সাংসদদের নিয়ন্ত্রণারোপ করা হবে কি না, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান সিইসি।
গত ৭ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
২০১৩ সালে নির্বাচনকালীন সময়ে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে মন্ত্রী-সাংসদদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ন্ত্রণ করে আচরণবিধি করে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়কে ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়’ বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
দশম সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করতে হবে।