আচরণবিধি প্রতিপালন হচ্ছে কি না, তফসিল ঘোষণার পরই দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল কবে নাগাদ ঘোষণা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি তিনি।
আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পপাদক ওবায়দুল কাদের রোববার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “নির্বাচন কমিশন নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শিডিউল ঘোষণা করবে, সময় আছে এক মাস।”
সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কবিতা খানম বলেন, “নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার এখতিয়ার কিন্তু নির্বাচন কমিশনের। এটা নির্বাচন কমিশনই ঘোষণা করবে।”
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
“এটা আমার জানা নাই। এ ধরনের কোনো আলোচনা যেহেতু নির্বাচন কমিশনে হয়নি। আমি এটুকু বলতে পারি, (কাদেরের বক্তব্য) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে বলা হয়েছে বলে আমি মনে করি না।”
তিনি বলেন, “বিদ্যমান আচরণবিধিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরে আমরা দেখবো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সংসদ সদস্য বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের। সেক্ষেত্রে যদি বিধি বহির্ভূতভাবে কিছু করা হয়, তখন তো সেখানে অ্যাকশন নেওয়ার সুযোগ নির্বাচন কমিশনের থাকবে।”
সংসদ নির্বাচন হবে সংসদ বহাল থাকা অবস্থায়। সংসদ সদস্যরা পদে থেকে নির্বাচন করবেন। সরকারি কোনো সুবিধা নিয়ে তারা কোনো নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কবিতা বলেন, “আপাতত আমরা যতটুক দেখেছি, তাতে আচরণ বিধিতে বড় কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তবে আমরা আরও দেখছি।
“আইন সংস্কার কমিটির আরো যারা আছেন তাদেরকে বলেছি, আরও কোনো কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কি না।”