বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৬৯টি কেন্দ্রে শুক্রবার সকাল ১০টায় এ পরীক্ষা শুরু হয়। এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় ১২০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় পরীক্ষার্থীদের।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সকাল ১০টা ২০ মিনিটে কলা ভবনের পঞ্চম তলার দুটি পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন।
পরে কলা অনুষদের ডিন কার্যালয়ের ফটকের সামনে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “অত্যন্ত সুন্দরভাবে এবং কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই আজকের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ "
গতবছর সিআইডির মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতদের একটি চক্রকে ধরার পর এবার কোনো জালিয়াতির খবর পাওয়া যায়নি বলে উপাচার্য জানান।
ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী পরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যেহেতু কোনো অনিয়মের খবর পাইনি, সেহেতু পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে বলে আমরা ধরে নিতে পারি। যে কোনো অনিয়ম ঠেকাতে আমরা তো আছিই, তার পাশাপাশি আমরা সবসময়ই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তা কামনা করি।"
মোবাইল ফোনসহ টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন যে কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ ছিলবরাবরের মতই নিষিদ্ধ। প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশি করে পরীক্ষার্থীদের হলে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।
যে কোনো ধরনের অনিয়ম ও জালিয়াতি ঠেকাতে পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করে।
‘খ’ ইউনিটের ২ হাজার ৩৮৩ টি আসনের বিপরীতে এবার ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭২৬ জন। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তির লড়াইয়ে অংশ নেন ১৫ জন প্রার্থী।
সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ইউনিটে ৭ হাজার ১২৮টি আসনের বিপরীতে এবার মোট ২ লাখ ৭২ হাজার ৫১২জন আবেদন করেছে। এই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী থাকছেন ৩৮ জন।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ‘ক’ ইউনিট, ১২ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিট এবং ২২ সেপ্টেম্বর ‘চ’ ইউনিটের অংকন অংশের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস ও ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (admission.eis.du.ac.bd) থেকে জানা যাবে।