কমিউনিটি ক্লিনিককে ট্রাস্টের আওতায় আনতে বিল পাস

প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ট্রাস্টের আওতায় এনে সেগুলোর সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন আইনের খসড়ায় আইনসভা অনুমোদন দিয়েছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2018, 03:34 PM
Updated : 20 Sept 2018, 03:34 PM

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট বিল- ২০১৮’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে তা একদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বর্তমানে একটি প্রকল্পের আওতায় (কমিউনিটি) ক্লিনিকগুলো চলছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে ক্লিনিকগুলো ট্রাস্টের আওতায় চলে আসবে।

দেশে বর্তমানে ১৩ হাজার ৮৬১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এ ধরনের আরও এক হাজার ২৯টি ক্লিনিক বাস্তবায়নে সরকারের পরিকল্পনা আছে।

এই ট্রাস্টের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ট্রাস্টের তহবিল ব্যবহার করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া।

বিলে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) জেলা সিভিল সার্জন, উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহিত সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বিলে কর্মীদের স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতির সুযোগ, গ্রাচুইটি এবং অবসর ভাতার সুবিধা রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, ট্রাস্টে সরকারি থোক বরাদ্দ থাকবে, অনুদান থাকবে। পাশাপাশি বেসরকারিভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন বা ব্যক্তি বিশেষ এখানে দান বা অনুদান করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্টের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া একটি বোর্ড থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত ‘সামজহিতৈষী স্বনামধন্য’ ব্যক্তি হবেন এই বোর্ডের সভাপতি।

সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব বোর্ডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে থাকবেন।বোর্ডের সদস্য হবে ১৪ জন।”

বিলে উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটি স্থায়ী ও শক্তিশালী হিসেবে চলমান রাখা এবং এর জনবলের চাকরিকালীন সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা; গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অধিকতর স্বচ্ছ, দক্ষ ও টেকসই সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রেফারেল সিস্টেম চালু করার জন্য একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।”