সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি সড়ক ও মহাসড়কের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করবে।
এছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতিও পর্যবেক্ষণ করবে এই কমিটি।
বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, শহর ও জেলা পর্যায়ে সড়ক নিরপাত্তায় কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের বিষয়টি তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি সরকারে শৃঙ্খলা আনতে স্কাউট, গার্লস গাইড ও রেড ক্রিসেন্টের মত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেওয়া কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি এই কমিটি করবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ছাড়াও অতিরিক্ত প্রেস সচিব; মহাপরিচালক (প্রশাসন); ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক; মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, জন নিরাপত্তা বিভাগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব; সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী; বিআরটিএ, বিআরটিসি ও রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এই কমিটির সদস্য।
গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাজধানী থেকে তাদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
নয় দফা দাবিতে এই আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা রাজপথে পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে চালকের লাইসেন্স ও যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা শুরু করে। সেখানে দেখা যায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও আইন প্রণেতারাও অনেক ক্ষেত্রে আইন মানছেন না।
পরে সরকারের তরফ থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয় নানা উদ্যোগ।
এর অংশ হিসেবে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের কর্মপরিকল্পনা জমা দেয়। সেসব পরিকল্পনা নিয়ে রোববার মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়।
স্কাউট ও গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনকে এ কাজে সম্পৃক্ত করে দেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অবহিত করার বিষয়েও রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আরেকটি বৈঠক হয়।
স্কাউট ও গার্লস গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মাধ্যমে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ট্রাফিক সাইন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ এবং পথচারী, গাড়ি ও মোটরবাইক চালক, যাত্রী, যানবাহন মালিকের দায়িত্ব ও করণীয় সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ করার সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে।