সোমবার ভোট শুরুর পাঁচ ঘণ্টা পর বেলা ১টার দিকে বিভাগীয় রিটার্নিং কর্মকর্তা আলিমুজ্জামানের দপ্তরে এসে তিনি এ দাবি জানান।
আরিফুল সাংবাদিকদের বলেন, “সিলেটের মানুষ এমন নির্লজ্জ্ব নির্বাচন আর দেখে নাই।বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৪২টি কেন্দ্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দখল করে নিয়েছেন।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক নগরীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বিএনপির এজেন্টদের উপস্থিতি দেখতে পাননি।
বিএনপির মেয়রপ্রার্থী বলেন, “বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখেছি পুলিশ, বিডিআর (বিজিবি), র্যাবের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ভোট দিয়েছে। অথচ তারা কিছু বলেননি।”
বিভাগীয় রিটার্নিং কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এ নির্বাচন বন্ধ করে আপনারা দেখিয়ে দিন, আপনাদের মেরুদণ্ড বলে একটা জিনিস আছে।”
এবিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।”
পরে তিনি গোলযোগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নগরীতে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করার কথা জানান।
এর আগে সোমবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পরপরই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোটটি দেন সিলেটের গত মেয়াদের মেয়র ধানের শীষের প্রার্থী আরিফুল।
ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এসে আরিফুল অভিযোগ করেন, আগের রাতে নগরীর কয়েকটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার রাত ২টার দিকে নগরীর ১০, ২০ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কটি কেন্দ্রে এই অনিয়ম হয়।
“১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী জালাল উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রাত ২টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। লোকজন সেখানে গেলে তাদের পুলিশের সহায়তায় বন্দুক নিয়ে তাড়া করেছে।"
আরিফুল বলেন, “রাতে কেন্দ্র বন্ধ থাকার কথা। সকালে খুলে দিলে লোকজন ভোট দিবে। এত রাতে এত মানুষ কেন্দ্রের ভিতর কী করছে?”
কোনো অনিয়মের প্রমাণ উদ্ধার করতে পারলে ‘কাউকে ছাড়া হবে না’ বলে হুঁশিয়ার করেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।