রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এই পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
প্রতি বছরই কোরবানির পশু হাটে ভেড়ানো নিয়ে গরু ব্যবসায়ীদের উপর ইজারাদারদের জোর খাটানোর অভিযোগ ওঠে।
মন্ত্রী বলেন, “এবারের সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, কোন পশু কোন হাটে যাবে, সেই হাটের নাম পরিবহনের সামনে ব্যানারে লেখা থাকবে।
“জোর করে বা বেপারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এক হাটের পশু অন্য হাটে নেওয়ার যে অভিযোগ, তা প্রতিরোধ করতে এই সিদ্ধান্ত।”
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “কোনো পশুবাহী পরিবহনের সামনে যদি লেখা থাকে চট্টগ্রামের হাটের নাম, সেই পশুবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম যাবে। সেই পরিবহনের পশু কেউ অন্য হাটে নামাতে পারবে না।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এবার ঈদে ঢাকায় ২২টি গরুর হাট বাসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এটি বেড়ে ২৯টিও হতে পারে।
প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় নানা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসি ক্যামেরাও থাকবে বলে জানান তিনি। টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের পাহারা দেওয়া হবে, থাকবে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনও।
মন্ত্রী জানান, গত বছর সারাদেশে প্রায় এক কোটি ১৫ লাখ পশু কোরবানি হয়েছিল। এ বছর আরও বেশি হতে পারে।
এসব পশুর চামড়া যাতে পাচার না হয়, সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
কোরবানির পশুকে মোটাতাজা করার জন্য অবৈধ ওষুধ ব্যবহার ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি জানান, এবার ঈদুল আজহায় পোশাক কারখানাসহ সব কারখানাগুলোর মালিকদের শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস যথাসময়ে দিয়ে পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে বলা হয়েছে।