বর্তমানে বাংলাদেশের রাজধানীতে ভারতের চারটি ভিসা সেন্টার চালু রয়েছে, অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন নতুন ভিসা সেন্টার চালু হওয়ার পর ধীরে ধীরে অন্যগুলো গুটিয়ে ফেলা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আগামী ১৫ জুলাই থেকে ভারতীয় ভিসার আবেদনে ই-টোকেন পদ্ধতিও তুলে নেওয়া হচ্ছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং শনিবার যমুনা ফিউচার পার্কে ১৮ হাজার বর্গফুট আয়তনের নতুন ভিসা সেন্টারটি উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্বে এটি ভারতের বৃহত্তম ভিসা সেন্টার। সম্ভবত সারাবিশ্বে যে কোনো দেশের এটিই সর্ববৃহৎ ভিসা সেন্টার।”
অনুষ্ঠানে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশি মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের হাতে ৫ বছরের মাল্টিপল টুরিস্ট ভিসা তুলে দেন। আরেক বাংলাদেশি অমল চন্দ্র নট্টের হাতে ভারতের মাল্টিপল টুরিস্ট ভিসা তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল।
ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তারা জানান, মতিঝিল ও উত্তরায় যে ভিসা সেন্টার রয়েছে, তা ১৫ জুলাই গুটিয়ে ফেলা হবে। গুলশান ও মিরপুর রোডের অন্য দুটিও ৩১ অগাস্টের মধ্যে নতুন ভিসা সেন্টারে সরিয়ে আনা হবে।
এখন ভিসার আবেদন করতে যে ই-টোকেনের প্রয়োজন হয়, তা ১৫ জুলাইয়ের পর আর লাগবে না। অর্থাৎ সরাসরি আবেদন নেওয়া হবে ভিসা সেন্টারে।
ভারতে পর্যটকদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবস্থান শীর্ষে। গত বছর ১৪ লাখ বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে প্রতিবেশী দেশটিতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশে ভারতের ১২টি ভিসা সেন্টার রয়েছে, বিশ্বের আর কোনো দেশে এতটি নেই।
নানা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজ করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এখন জ্যেষ্ঠ নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ীদের ৫ বছরের মাল্টিপল ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
নতুন যে ভিসা সেন্টার চালু হল, সেখানে গিয়ে প্রথমে একটি টোকেন নিয়ে ভিসা প্রার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষার স্থানটিও সুপরিসর এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ভিসা আবেদন নেওয়ার জন্য কাউন্টার থাকবে ৪৮টি। অপেক্ষার সময় চা, কফি পানের ব্যবস্থাও থাকছে।
জ্যেষ্ঠ নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকবে। কারও কিছু প্রিন্ট কিংবা ফটোকপি করার প্রয়োজন হলে তাও করিয়ে নিতে পারবেন নির্দিষ্ট ফি দিয়ে।