ইসলামিক শিলালিপির বর্ণনামূলক নিদর্শন তালিকা প্রকাশ

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত সব ইসলামিক শিলালিপি এমন কি যেগুলোর পাঠোদ্ধার করা হয়নি সেগুলোসহ তৈরি করা হয়েছে বর্ণনামূলক নিদর্শন তালিকা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2018, 12:21 PM
Updated : 27 May 2018, 12:21 PM

অধ্যাপক-গবেষক মোহাম্মদ ইউসুফ সিদ্দিক রচিত ‘এরাবিক অ্যান্ড পারসিয়ান এনস্ক্রিপশন ইন দ্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়াম- ডেসক্রিপটিভ ক্যাটালগ’ নামের এই গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হল রোববার জাতীয় জাদুঘরে।

জাতীয় জাদুঘর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ও বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. এনামুল হক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ সিদ্দিক বলেন, “বইটিতে শুধু শিলালিপির লেখাগুলো অনুবাদই করা হয়নি পাশাপাশি সে সময়ের মুসলিম সমাজ ও সময়ের সাথে তাদের পরিবর্তন ও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।”

আলোচনায় অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “সুলতানি বাংলায় প্রাপ্ত শিলালিপি ছিল সাধারণত আরবিতে উৎকীর্ণ। ফারসি লিপির সংখ্যা ছিল খুবই কম। মধ্যযুগের বাংলার শিলালিপি মুসলিম ক্যালিগ্রাফি বা হস্তলিখন শিল্পানুসারে লেখা হতো। ইসলাম ধর্মে প্রাণীদেহ অঙ্কনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় লিপি, ফুল, পত্র, বৃক্ষাদি ও নকশা অলংকরণের দিকে শিল্পীরা মনোযোগী হয়েছিলেন। আরবি ক্যালিগ্রাফির ক্রমবিকাশের ধারাক্রম মধ্যযুগের বাংলার শিলালিপিতেও দৃশ্যমান।”

সভাপতির ভাষণে ড. এনামুল হক বলেন, “বিভিন্ন মসজিদ থেকে প্রাপ্ত মধ্যযুগের শিলালিপিতে বক্তব্য প্রকাশের ধরণ ছিল প্রায় অভিন্ন। অধিকাংশ লিপি ছিল আরবি ও ফারসি ভাষায় লেখা। বাংলা লিপি ছিল হাতেগোণা। সমকালীন ইতিহাস গ্রন্থ না থাকায় মধ্যযুগের ইতিহাস পুনর্গঠনে এসব লিপিসাক্ষ্যের বিশ্লেষণ অপরিহার্য।”